পাচারের আগেই উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকার চোরাই কাঠ। বেলাকোবা বন দফতর এবং শিলিগুড়ি টাস্ক ফোর্সের যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার এই বার্মাটিক কাঠ উদ্ধার হয়। বুধবার সকালে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের রানীনগর এলাকায় কাঠ বোঝাই একটি কন্টেনার আটক করে বনকর্মীরা, সেই গাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় এই কাঠ।
জানা গিয়েছে, আসাম থেকে কলকাতায় পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কাঠগুলো। এই ঘটনায় ঐ কন্টেনার চালক অজিতকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত হরিয়ানার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হবে।
মাঝে মধ্যেই অসাম এবং মেঘালয়ের থেকে দক্ষিণ ভারতে কাঠ পাচারের ঘটনা ঘটে। কখনও সিমেন্ট বোঝাই গাড়িতে, কখনও কাঁচের বস্তার আড়ালে, আবার কখনো বাঁশের আড়ালে হয় কাঠ পাচার। কিন্তু কাঠ পাচারকারীরা যতই চেষ্টা চালাক, বনবিভাগের অভিযানে মাঝেমধ্যেই ধরা পড়ে যাচ্ছে সেই বহুমূল্য বর্মাটিক কাঠ। বুধবার সকালের গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নামে বন বিভাগ তাতেই মেলে এই সাফল্য। এই চক্রে আর কারা জড়িয়ে রয়েছে, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছে পৌঁছাতে চাইছে বনবিভাগ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবারও পুলিশ স্টিকার লাগিয়ে কাঠ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। উদ্ধার প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার বার্মা টিক কাঠ। বড়সড় এই সাফল্য পায় জলপাইগুড়ি বনবিভাগের বেলাকবা রেঞ্জ।
এর আগে শুক্রবার সকালে বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের জলপাইগুড়ি সংলগ্ন দশদরগা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি কন্টেইনার আটকায় বনকর্মীরা। এরপর তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বার্মাটিক কাঠ উদ্ধার করা হয়। পরে কন্টেনার চালককে গ্রেফতার করা হয়।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া কাঠের বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। আসাম থেকে দিল্লীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই কাঠ। অভিযুক্তকে শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করা হয়।
No comments:
Post a Comment