এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে পাকাপাকি বন্ধ হয়ে যাবে স্কুল, নোটিশ দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে জেলা ও ব্লকের শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি স্কুল ঘরেই তাদের তালা বন্দি করে রাখলেন অভিভাবকরা। শুধু তাই নয়, আধিকারিকদের উদ্ধার করতে এসে গ্রামবাসীদের আক্রমণের মুখে পড়েন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাও। ঘটনা হুগলির হরিপাল থানার বাহিরখন্ড এলাকার বাহিরখন্ড ডাকাতিয়া খাল পাড় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের। ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর জেলা ও ব্লক আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে হরিপাল থানার পুলিশ।
গ্রামবাসীরা জানান, এলাকায় একটি মাত্র শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯১ সালে গ্রামবাসীদের তত্ত্বাবধানে। তিন জন শিক্ষক নিয়ে শুরু হয় স্কুল। নিম্ন বুনিয়াদি থেকে চতুর্থ শ্রেণী পযন্ত পড়ানো হতো এই স্কুলে। পরবর্তী কালে দুই জন শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করা হয়। ২০১৯ সাল থেকে এক জন শিক্ষিকা শিক্ষকতা করছিলেন, তিনি আগামী ৩১ শে মার্চ অবসর নেবেন, যার ফলে শিক্ষক শুন্য হয়ে যাবে স্কুল।
বর্তমানে কোনও নিয়োগ না হওয়ায় জেলা এবং ব্লক শিক্ষা দফতর থেকে স্কুলটি পুরোপুরি বন্ধ করার নির্দেশ দিতে আসেন বুধবার। এরপরই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্কুলের সামনে এবং প্রায় এক ঘন্টার ওপর জেলা ও ব্লকের শিক্ষা দফতরের অধিকারিকদের স্কুলে তালা বন্দি করে রাখেন। তাদের একটাই দাবী, স্কুল যেন বন্ধ না হয়।
খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তথা বাহিরখন্ড পঞ্চায়েত প্রধান মিতা ঘোষের স্বামী গৌতম ঘোষ। কিন্তু ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা তার ওপরেও চড়াও হন এবং দুর্নীতির অভিযোগও করেন।
স্থানীয়রা বলেন, 'এই এলাকায় আর একটিও স্কুল নেই। এখান থেকে দুই কিলোমিটার দূরে রেললাইন পার হয়ে একটি স্কুল আছে। আমাদের এখানে রাস্তার দশাও খুবই খারাপ। কিন্তু আমাদের রাস্তাও চাই না, শুধু এই স্কুল যেন বন্ধ না হয়।'
পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় ও তৃণমূল নেতা সহ আধিকারিকদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। গৌতম ঘোষ বলেন, 'রাস্তা নিয়ে একটা ক্ষোভ আছে ওদের। কিন্তু স্কুল বন্ধের বিষয়টি সরকারের, এতে আমাদের কোনও হাত নেই।' পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment