চাঁদ আমাদের পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের প্রাকৃতিক উপগ্রহ। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে চাঁদে প্রাণের সম্ভাবনা খুঁজছেন। এই পর্বে একটি নতুন বিষয় সামনে এসেছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে চাঁদে ছড়িয়ে থাকা ছোট কাঁচের পুঁতির ভেতরে জল থাকতে পারে।
এই জিনিসটি আগামী দিনে চাঁদের ব্যাপারে মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হতে পারে। এটি একটি মূল্যবান সম্পদের সম্ভাব্য স্টোরের দিকে নির্দেশ করে। বিজ্ঞানীরা চাঁদকে দীর্ঘদিন ধরে মরুভূমির মতো মনে করেন। তবে গত কয়েক দশকে এমন অনেক চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা চাঁদে জল থাকার প্রমাণ দেয়।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে চাঁদের পৃষ্ঠে জল রয়েছে এবং এটি খনিজগুলির ভিতরে আটকে রয়েছে। ২০২০ সালে, চীন চাঁদ অনুসন্ধানের একটি মিশন শুরু করেছিল। এই মিশনের নাম ছিল রোবোটিক চ্যাং'-৫। সে সময় চাঁদের মাটি নমুনা হিসেবে পৃথিবীতে আনা হয়। এ বিষয়ে সোমবার (২৭ মার্চ) বিজ্ঞানীরা জানান, এই মাটির নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই কাঁচের গোলকগুলো গলিত ও ঠান্ডা। তারা চাঁদের পৃষ্ঠে নিজেদের ভিতরে জলের পরমাণু রাখে।
চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অফ জিওলজি অ্যান্ড জিওফিজিক্সের বিজ্ঞানী সেন হু বলেছেন যে মাইক্রোমেটিওরয়েড এবং বড় উল্কাগুলি চাঁদে ক্রমাগত সংঘর্ষ করে। তাদের সংঘর্ষের সময় উচ্চ শক্তি উৎপন্ন হয়।
এটি জলের গ্লাস তৈরিতে সাহায্য করে। সেন হু নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রেরও একজন লেখক। সৌর বায়ু একটি চার্জিত কণা। এতে প্রোটন এবং নিউট্রন রয়েছে। সেন হু বলেন, সৌর বায়ু দ্বারা তৈরি জল চাঁদের কাঁচের পুঁতির পৃষ্ঠে উপস্থিত অক্সিজেনের সাথে সৌর হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়।
No comments:
Post a Comment