দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত রাজ্যের শাসক দল। গরু পাচার থেকে কয়লা চোরাচালান, চাকরি-দুর্নীতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা-মন্ত্রী ও তাদের ঘনিষ্ঠরাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিশানায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা এই দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে জোর প্রচার শুরু করেছে। এরই মাঝে দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তাঁর দাবী, শাসক দলের ছত্রছায়ায় কিছু 'বদমাশ' রয়েছে। তারা দলে ঢুকেছে এবং তাদের কারণেই সব ঝামেলা হয়েছে।
শনিবার খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের সভার আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্র ভবনের ওই বৈঠকেই এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তাপস রায়। এ নিয়ে দলের অন্দরেগ তোলপাড় শুরু হয়েছে।
তাপস রায় বলেন, “অন্য দলের বদমাশগুলো আমাদের দলে ঢুকে পড়েছে তাদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে। তারা সরকারি দলের সঙ্গে থাকতে চায়। তারা আমাদের মত কয়েকজনকে খুঁজে পায় এবং আমাদের দলে চলে আসে। আমরা এই জায়গাটা বন্ধ করতে পারিনি। আমরা যদি এটা আটকাতে পারতাম, তাহলে আজকের এই অবস্থা দেখতে হত না।"
তাপস কি দলের অভ্যন্তরে কাউকে নিশানা করলেন নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে? এটা স্পষ্ট নয়। কমিটিতে তিনি যেসব অভিযোগ করেছেন, তা এর আগেও তৃণমূল পর্যায়ে শোনা গেলেও সে আলোচনা ছিল মূলত দলের ভেতরেই। এটা এভাবে প্রকাশ্যে আসেনি।
গত বছর কলকাতায় একটি কলেজের অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসে জনপ্রিয় গায়ক কেকের মৃত্যুর পরে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও প্রশ্ন তুলেছিলেন, এত টাকা কোথা থেকে আসছে? আর সম্প্রতি বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাতে দলের অস্বস্তি বহুগুণ বেড়েছে।তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তারা সকলেই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এইসকল নেতা বা শাসক ঘনিষ্ঠদেরই কী নিশানা করলেন বিধায়ক তাপস রায়? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
No comments:
Post a Comment