বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি রিলিজ জারি করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে পদার্থবিজ্ঞানের একজন গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করা হবে। যোগ্যতা স্নাতকোত্তর হতে হবে। পিএইচডি থাকতে হবে অথবা নেট পাশ করতে হবে। গেস্ট লেকচারারকে প্রতি শ্রেণীতে ৩০০ টাকা এবং প্রতি মাসে ৪৮০০ টাকা দেওয়া হবে। ২৪ মার্চ প্রকাশিত রিলিজটি প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহল এর সমালোচনা করেছে। এর তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো। এ নিয়ে ট্যুইট করে মমতা সরকারকে ঘেরাও শুরু করেছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছে।
কয়েকদিন আগে বাঁকুড়া পুলিশের 'অঙ্কুর' নামে একটি প্রকল্প নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, যেখানে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস নিতে বলা হয়েছিল, যদিও বিতর্কের পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
বিজেপির বাংলার সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সম্প্রতি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি ট্যুইট করেছেন যে পিএইচডি ডিগ্রি বা নেট পাস সহ গেস্ট লেকচারারদের সন্ধান করা হচ্ছে। এতে দেখা যায় যে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যাতে বলা হয়েছে যে পদার্থবিদ্যার জন্য গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করা হবে। এই পদে চাকরি পেতে হলে অবশ্যই স্নাতকোত্তর হতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পিএইচডি বা নেট পাস থাকতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে লেকচারারদের বেতন ক্লাস প্রতি ৩০০ টাকা লেখা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে ওই লেকচারাররা প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ চারটি ক্লাস নিতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাথে সাথেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে, যেখানে একজন শ্রমিকের বেতন প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা। সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাসিক বেতন ৯০০০ টাকা, পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রি বা নেট পাস একজন লেকচারার এত কম বেতনে কীভাবে কাজ করতে পারেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। এসএফআই-এর বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অনির্বাণ গোস্বামী বলেন, "এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি শুধুমাত্র শিক্ষার অপমান নয়, এই রাজ্যের সমস্ত শিক্ষিত যুবকদের অপমান, আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।" বিষয়টি সামনে আসার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটূক্তি করেছেন। তিনি জানান, সিভিক ভলান্টিয়ারদের তুলনায় 'সিভিক লেকচারার' নিয়োগ করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, "একজন অধ্যাপক হিসেবে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি পড়তে আমার লজ্জা লাগে।"
No comments:
Post a Comment