চা থেকে বৈবাহিক সম্পর্ক! সিপিএমের ছোঁয়া এড়াতে বললেন জ্যোতিপ্রিয় - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 25 March 2023

চা থেকে বৈবাহিক সম্পর্ক! সিপিএমের ছোঁয়া এড়াতে বললেন জ্যোতিপ্রিয়


সিপিএমকে সামাজিক বয়কটের ডাক দিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বামেদের সঙ্গে না চলারই পরামর্শ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'চায়ের দোকানে কোনও সিপিআই(এম) নেতা বা কর্মীর সঙ্গে না বসাই ভালো। এমনকি তিনি সিপিএম-এর করা নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক এড়াতে বলেন। ২০১১ সালের আগে এমন স্লোগান দিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তা আজও প্রযোজ্য বলেই তাঁর মত। 


শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা ১ নম্বর ব্লক অফিসে দুয়ারে ডাক্তার পরিষেবার আয়োজন করা হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি সিপিআই(এম) কে একটি ভয়ঙ্কর দল বলেও অভিহিত করেন। 


জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “সিপিএম শেষ। তাদের কিছুই হবে না। যে মুখগুলি দেখছেন, সেগুলো পচে গিয়েছে। নতুন মুখ দরকার।" মন্ত্রী খানিকটা তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, “২০১১ সালে আমি স্লোগান দিয়ে বলেছিলাম,  সিপিএমের সঙ্গে চলব না, বৈবাহিক সম্পর্ক করব না, কোনও বিয়ে বাড়িতে তারা গেলে যাব না, চায়ের দোকানে যাব না, কথা বলব না। এই স্লোগান আজও খুব প্রযোজ্য। আমি তাদের সঙ্গে চলার পক্ষপাতী নই।” 


সিপিএমকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা বলেন, “তারা যা করেছে, আপনি শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে শুনতে পাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি প্রতিটি বিভাগে তদন্ত করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন তাদের কী হবে? এটা মাত্র শুরু। এটা শিক্ষা বিভাগ থেকে শুরু হয়েছে।”


উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের অনেক নেতার নাম জড়িয়েছে। গ্রুপ সি থেকে গ্রুপ ডি চাকরি বাতিলের তালিকায় বেশিরভাগ প্রার্থীই তৃণমূল নেতা বা তাদের ঘনিষ্ঠজন। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন দল কারসাজি করে তাদের কর্মীদের চাকরি দিয়েছে বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। তবে মাঠ ছাড়েনি তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং বামেদের ৩৪ বছরে নিয়োগের দুর্নীতির ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি আজ বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। 


অন্যদিকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বনমন্ত্রীর এই সামাজিক বয়কটের ডাক সমর্থন না করে বলেন, 'আমি এর সঙ্গে একমত নই। 


পাশাপাশি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এ কথা বলে তিনি দাম বাড়াচ্ছেন। তার দাম কমেছে। এখন আবার দাম বাড়াতে এ কথা বলছেন। কেন তারা সামাজিক বয়কটের কথা বলবেন? এটাই ওদের কাজ, কিন্তু মানুষ ওদের বুঝেছে।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad