ক্যুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে মাদক পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ নারকোটিক্স কন্টোল ব্যুরো। বিভিন্ন ক্যুরিয়ার সংস্থাকে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলল এনসিসি। এসওপিতে বলা হয়েছে, যাঁরা ক্যুরিয়ার করতে আসবেন এবং যাঁদের তা পাঠানো হবে, দু'জনেরই সঠিক পরিচয় নথিভুক্ত করতে হবে।
প্রায়ই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হচ্ছে মাদক। ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে মাদক-চক্র। বিভিন্ন সময়ে শহরে রেভ পার্টিতে অভিযান চালিয়েও মিলেছে মাদকের হদিশ। কিন্তু কীভাবে পৌঁছে যাচ্ছে এই মাদক। এনসিবির দাবী ক্যুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমেই চলছে এই জঘণ্য কাজ। এই প্রেক্ষাপটে এবার মাদক পাচারের রমরমা আটকাতে ক্যুরিয়ার সংস্থাগুলিকে এসওপি পাঠাল এনসিবি।
ইতিমধ্যেই ক্যুরিয়ার সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক সেরেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। এনসিবি'র এসওপিতে বলা হয়েছে, যাঁরা ক্যুরিয়ার পাঠাতে আসবেন, তাঁদের সঠিক পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক। যাঁকে পাঠানো হবে, তাঁকেও পার্সেল দেওয়ার আগে নিতে হবে ওটিপি। স্কান্যারের মাধ্যমেও পার্সেলগুলিকে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। মাঝেমধ্যেই অসময়ে কেউ ক্যুরিয়ার পাঠাতে এলে, তাঁর ওপর নজর রাখতে হবে। এদিন মাদক কারবারিদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থার তরফে।
নারকোটিক্স কন্টোল ব্যুরো জোনাল ডিরেক্টর (কলকাতা) রাকেশচন্দ্র শুক্লা এদিন বলেন, “দমদমে বিশ্বনাথ দেবনাথের বাড়ি থেকে ৩৬২ কেজি আফিম উদ্ধার হয় ২০১৪ সালে। ব্যারাকপুর আদালতে তাঁকে ১২ বছরের সাজা দিয়েছে ২৩ তারিখ। অর্থাৎ পাচারে যুক্ত থাকলে রেহাই মিলবে না।’’ এনসিবি'র তরফে জানানো হয়েছে, পুরোদমে মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মিলে।
No comments:
Post a Comment