বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের দেশগুলোর সামনে একটি বড় সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। গত কয়েক বছরে, অনেক দেশেই প্রচণ্ড তাপ পরিস্থিতি বা অমরসুমি ভারী বর্ষণ এবং বন্যা দেখা গেছে।ভারতেও গত কয়েক বছরে অনেক রাজ্যে অমরসুমি বৃষ্টি বা তাপমাত্রার তীব্র বৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। এবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ভারতের নদী নিয়ে বড়সড় সতর্কবাণী দিয়েছেন।
আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে আগামী দশকগুলিতে সিন্ধু, গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ হিমালয়ের নদীগুলির জলস্তর এবং প্রবাহ হ্রাস পেতে পারে। গুতেরেস বলেছেন যে হিমবাহ এবং বরফের শীট যেভাবে গলছে তা উদ্বেগের বিষয়।
হিমবাহ সংরক্ষণের একটি প্রোগ্রামে তার বক্তব্য রেখে গুতেরেস বলেছিলেন যে হিমবাহগুলি পৃথিবীতে জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিমবাহকে জলের একটি প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হিমবাহ বিশ্বের ১০ শতাংশ জুড়ে। ভারত সহ অনেক দেশে হিমবাহ থেকে শুধুমাত্র গলিত জল প্রবাহিত হয়। যা পানের পাশাপাশি সেচের কাজেও ব্যবহৃত হয়।
ভারতে, গঙ্গার মতো নদীগুলিকে পানীয় জলের পাশাপাশি সেচের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। গুতেরেস বলেন, মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। হিমবাহ দ্রুত গলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রায় ১৫০ বিলিয়ন টন অ্যান্টার্কটিক বরফ গলে যাচ্ছে।
গ্রিনল্যান্ডের বরফও দ্রুত গলে যাচ্ছে। প্রতি বছর গ্রীনল্যান্ড থেকে ২৭০ বিলিয়ন টন বরফ গলে যাচ্ছে। ভারতে মোট ১০টি প্রধান নদী রয়েছে যেগুলি হিমালয় অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এই নদীগুলির মাধ্যমে ১.৩ বিলিয়ন মানুষ পানীয় জল পায়।
পাকিস্তানে গত বছরের বন্যার কথা উল্লেখ করে গুতেরেস বলেছিলেন যে হিমালয়ের তুষার গলে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি কীভাবে খারাপ হয় তা বিশ্ব ইতিমধ্যে দেখেছে। গত কয়েক দশকে বরফের চাদর শেষ হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে হিমালয় থেকে বেরিয়ে আসা নদীর প্রবাহ কমে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment