তিলজলায় শিশুকন্যাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। এই ঘটনার বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্য সচিবকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ৮ বছরের শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার জেরে সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার রাস্তায় তোলপাড়। ভাংচুর, বিক্ষোভ, রেল জ্যাম ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়ে ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। সূত্র আরও জানিয়েছে যে ঘটনা তদন্তে কমিশন রাজ্যে একটি দল পাঠানোর কথা ভাবছে। এই ঘটনার জেরে রবিবার রাত ও সোমবার কলকাতায় ব্যাপক তোলপাড় হয়।
তিলজলায় শিশুকন্যাকে খুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। এ বিষয়ে মুখ্যসচিব ও পুলিশের মহাপরিচালককেও নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন। সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানং ট্যুইট করেছেন যে তিনি তিলজলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন। ট্যুইটে লেখা, "কলকাতায় সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন কমিশন। আমরা সেই রাজ্যের ডিজিপি এবং মুখ্য সচিবকে নোটিশ পাঠাচ্ছি। আমাদের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পাবে।"
এই পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিজেপি ইতিমধ্যেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবী জানিয়েছে। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন। সোমবার তিলজলায় উত্তেজনার ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সংসদে বিষয়টি উত্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। সূত্রের খবর, তিলজলা ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন বিজেপি সাংসদ।
রবিবার রাতে তিলজলা থানায় ঘেরাও করেছিলেন ৮ বছরের শিশুকন্যার প্রতিবেশীরা। অন্যদিকে, শিশুকন্যার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাকে তোয়ালে দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মদ্যপ ছিলেন। সূত্রের খবর, পুলিশ জানতে পারে এক তান্ত্রিকের নির্দেশেই সে এই কাজ করেছে।
No comments:
Post a Comment