গ্রীষ্মকাল এসে গেছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে। দিনে প্রখর রোদ এবং রাতে তীব্র আর্দ্রতার মুখোমুখি হতে হবে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে গ্রীষ্মের মরসুমে সাপ, জোঁক, মশা ও অন্যান্য পোকামাকড়ের প্রকোপও বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় মানুষ সম্ভাব্য সকল সতর্কতা অবলম্বন করে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখে, কিন্তু প্রাণীদের এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সাপের কামড়ে অনেক প্রাণী মারাও যায়। আপনার যদি পোষা প্রাণী থাকে বা পশুপালন করেন। যদি আপনার পশুকে বিষাক্ত সাপে কামড়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই এই লেখাটি পড়ুন।
যদি প্রাণীটিকে বিষাক্ত সাপে কামড়ে থাকে তবে আতঙ্কিত হবেন না, আপনি সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রাণীটিকে বাঁচাতে পারেন। প্রাণিসম্পদ বিজ্ঞানী ডাঃ আনন্দ বলেন, এমন পরিস্থিতিতে পশু পালনকারীকে প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে কোন স্থানে সাপটি প্রাণীটিকে কামড়েছে। এবার সেই অংশের ৩ ইঞ্চি উপরে একটি পাতলা স্ট্রিং দিয়ে শক্তভাবে বেঁধে দিন। বাঁধার পরে, খুব সাবধানে সাপের কামড়ের উপর একটি ব্লেড দিয়ে চেরা করুন। ছেদ থেকে রক্তের পাশাপাশি সাপের বিষও বেরিয়ে আসবে শরীর থেকে। মনে রাখবেন শুধু চেরা করতে হবে, পশুর চামড়া কাটবেন না। ভুল করেও যদি চামড়া কেটে যায় তাহলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রাণী মারা যেতে পারে। প্রক্রিয়া চলাকালীন, প্রাণীটি একটি সংবেদনশীল এবং দুর্বল অবস্থায় থাকে, তাই এটিকে শান্ত পরিবেশে এবং একই জায়গায় রাখুন। এই পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন পশুচিকিৎসক ডাকার জন্য কাউকে পাঠান। ডাক্তার সময়মতো এসে পশুকে বিষের প্রতিষেধক দেবেন। এভাবে প্রাণিটির জীবন বাঁচানো যায়।
গ্রীষ্মকালে পশুদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। যতদূর সম্ভব পশুদের খোলা জায়গায় না বেঁধে পরিষ্কার ও বাতাস চলাচলের ঘরে রাখুন। সময়ে সময়ে তাদের চারার ব্যবস্থা করুন এবং পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে থাকুন যাতে পশু সুস্থ থাকে। পশুর ঘের পরিষ্কার থাকলে সেখানে বিষাক্ত প্রাণী ও মশা আসার সম্ভাবনা কম থাকে। এভাবে পশুরা নিরাপদ থাকতে পারে।
No comments:
Post a Comment