দোলের দিন হরিদেবপুরে মাঝ রাস্তায় মহিলা মৃতদেহ দেখে শিউরে উঠেছিলেন এলাকাবাসী। সেইসময় মৃতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। গলায় ছিল ফাঁসের দাগ। এরপরেই তদন্তে নামে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। আর সেই তদন্তেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ডালিয়া চক্রবর্তী, বাড়ি নরেন্দ্রপুরের নয়াবাদে এবং মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক ও মধুচক্র। হরিদেবপুরে একজনের কাছে পাওনা টাকা আনতে যাবেন বলে স্বামীকে জানিয়ে সোমবার বিকেলে বেরিয়েছিলেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ তিনি। স্বামীকে পাঠানো ডালিয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই তাঁর ফোন উদ্ধার করে পুলিশ এবং সেই ফোনের কল রেকর্ডই পৌঁছে দেয় জনৈক অরুণাভ নামে ওই অভিযুক্ত পর্যন্ত, যিনি ডালিয়াকে চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তির কাছ থেকেই চার হাজার টাকা আনতে গিয়েছিলেন ডালিয়া। অরুণাভকে প্রথমে আটক করে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার কাছ থেকে জুতো ও একটা ওড়না উদ্ধার হয়। অভিযোগ, সেই ওড়না দিয়েই নিজের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ডালিয়াকে খুন করে এবং রাস্তায় দেহ ফেলে শ্বশুরবাড়ি চলে যায় অরুণাভ।
অরুণাভ প্রথমে একটি বেআইনি সিকিউরিটি এজেন্সি চালাতেন। পরে তিনি মধুচক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং দালাল হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। অনুমান, সেই সূত্রেই ২০২০ সালে ডালিয়ার সঙ্গে পরিচয়, এরপর তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অরুণাভর হরিদেবপুরের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে প্রায়ই আসতেন ডালিয়া। সোমবারও সেখানেই গিয়েছিলেন মধুচক্রের দালালি বাবদ টাকা আনতে। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এরপর শ্বাস রোধ করে ডালিয়াকে খুন করে অরুণাভ।
No comments:
Post a Comment