একশো দিনের কাজের (MNREGA) বকেয়া পরিশোধ না করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “১০০ দিনের কাজে যদি দুর্নীতি হয়, তবে সিবিআই তদন্ত করা উচিৎ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কাজের টাকার জন্য দু'বার প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন। আমরা এক বছর থেকে অপেক্ষা করছি, আর নয়। এক মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবে ১ কোটি মানুষ। এক মাসের মধ্যে টাকা না দিলে দিল্লী স্তব্ধ করে দেব।" উল্লেখ্য, শনিবার আলিপুরদুয়ারে সভা করেন অভিষেক। সেখান থেকেই কেন্দ্রকে নিশানা করেন তিনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রয়োজন হলে আমি এই ভাই-বোনদের ১০০ দিনের কাজের টাকার জন্য দিল্লী নিয়ে যাব। আমি তাদের থাকার ব্যবস্থা করব, কিন্তু ন্যায্য টাকা নিয়ে ছাড়ব।'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন টাকা বন্ধ করতে। আপনারা রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। ২০১৯ সালে বিজেপি ২ লক্ষ ভোটে জিতেছিল। তখন তারা বকেয়া টাকা আটকে রাখে, যাকে খাওয়ানো হয়েছে এবং লালন-পালন করা হয়েছে সে মানুষ নয়, সাপ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি যুক্তির খাতিরে মেনে নিচ্ছি যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে। ২০ লাখ পরিবারের মধ্যে ২০০০ জন যদি দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়, আপনি তাদের জেলে ঢোকাবেন। তৃণমূল কংগ্রেস চোরদের উৎসাহ দেয় না। আমরা ওই দুই হাজার মানুষকে শাস্তি দিতে চাই এবং বাকি ১৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা রিলিজ দিতে চাই।"
অভিষেক বলেন, 'এক মাস পর আমার প্রতিনিধি গিয়ে আপনার কাছ থেকে চিঠি নেবেন। তারপর এক কোটি চিঠি নিয়ে দিল্লী যাব। দেখা যাক কেন্দ্রীয় সরকার এখনও দরজা বন্ধ করতে পারে কি না। আগে ১৭ লাখ পরিবারের কথা বলতাম। এখন দেখছি ২০ লাখ পরিবারের টাকা জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। একশো দিনের কাজের জন্য ১ কোটি ৩৮ লাখ পরিবার নিজেদের রেজিস্ট্রেশন করেছে। এই কার্যক্রম আগামী ১৭ তারিখ থেকে ১ মাস চলবে। সারা বাংলায় এই কর্মসূচি চলবে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের, বিশেষত বুথ সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের প্রতি বুথে ১০০ দিন কাজে হেনস্থা ও শোষণের শিকার লোকদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলব। বুথে বুথে যান। নিপীড়িতরা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখুন।"
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কিছুদিন আগে আমি নিজে গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেননি। যদিও তিনি দিল্লীতে ছিলেন। তৃণমূল সাংসদরা বসে আলোচনা করার সাহস পাননি। এর কারণ সম্ভবত আমাদের প্রশ্নের উত্তর তাঁর কাছে ছিল না। শুধুমাত্র বাংলার একশো দিনের কাজের টাকা জোর করে আটকে রাখা হয়েছে কারণ তারা নির্বাচনে হেরেছে।"
অভিষেক আরও বলেন, “কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী রেড রোডে ধর্নায় বসেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে রেখেছে। আগে কখনও ভোট চাইনি। আমি এখনও চাই না, কিন্তু সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিজেপি মানুষের খাবার কেড়ে নিচ্ছে।"
No comments:
Post a Comment