প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিৎ নয়, ঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ঘরে রাখা জিনিসপত্রেরও যত্ন নেওয়া উচিৎ। কারণ ঘর ও রান্নাঘরের ময়লাও অসুস্থ করে তুলতে পারে যেকোনও মানুষকে। বাড়ির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল রান্নাঘর, যার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সবচেয়ে বেশি যত্ন নেওয়া উচিৎ। কারণ এটি এমন জায়গা যা শরীরকে রোগের আবাসস্থল করে তুলতে পারে।
রান্নাঘরে পাওয়া অনেক জিনিসও ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক রোগে আক্রান্ত করতে পারে যেকোনো ব্যক্তিকে ? সমস্ত জিনিস বিপজ্জনক নয়, তবে কিছু জিনিস মারাত্মক হতে পারে। আসুন জেনে নেই কোন জিনিস সেগুলো-
নন স্টিক কুকওয়্যার:
নন-স্টিক কুকওয়্যারে পারফ্লুরোওকটানোয়িক অ্যাসিড নামে একটি রাসায়নিক রয়েছে, যা কিছু গবেষণায় ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক এবং মারাত্মক রোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যখন নন-স্টিক কুকওয়্যার উচ্চ তাপমাত্রায় গরম করা হয়, তখন এটি বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত করে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। এই ধোঁয়া ফ্লু-এর মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সারও হতে পারে।
পরিশোধিত তেল:
অ্যাক্রিলামাইডস এবং গ্লিসিডিল ফ্যাটি অ্যাসিড এস্টার (জিই) নামক ক্ষতিকারক যৌগগুলি পরিশোধিত তেলের পরিশোধন প্রক্রিয়ার সময় গঠিত হয়। এই যৌগগুলি কার্সিনোজেনিক হিসাবেও পরিচিত। এগুলি স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সহ বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের সাথে যুক্ত।
প্রক্রিয়াজাত মাংস:
প্রক্রিয়াজাত মাংসও ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার। এছাড়াও, নাইট্রাইট এবং নাইট্রেটগুলি প্রক্রিয়াজাত দুধ সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়, যা খাওয়া হলে শরীরের ভিতরে নাইট্রোসামিন নামক ক্ষতিকারক যৌগগুলিতে রূপান্তরিত হতে পারে।
টিনজাত খাবার:
কিছু ক্যানে বিসফেনল এ নামক রাসায়নিক থাকে যা ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। বিসফেনল এ ক্যানের আস্তরণের মাধ্যমে খাবারে প্রবেশ করতে পারে, বিশেষ করে যখন ক্যানটি উত্তপ্ত হয় বা অ্যাসিডিক খাবারের সংস্পর্শে আসে।
No comments:
Post a Comment