জ্বর হল যেকারো শরীর সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। দুর্বলতা এতটাই বেড়ে যায় যে সারা শরীর অলস ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। জ্বরে শরীর থেকে জলও কমতে থাকে। এসময় কিছু খেতে বা পান করতে ভালো লাগে না। তাই জ্বর হলে রোগীকে প্রায়ই খিচুড়ি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
চিকিৎসকের ধারণা জ্বরের সময় শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হয়, যার কারণে শুধুমাত্র শক্তিশালী জিনিসই খাওয়া উচিৎ। তাহলে আসুন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক জ্বর হলে কী কী খাওয়া উচিৎ, যাতে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পায়। জ্বরে টনিক হিসেবে কাজ করে কোন জিনিসগুলো আসুন জেনে নেই-
জ্বর হলে কি খাওয়া উচিৎ?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বর হলে যতটা সম্ভব তরল পান করা উচিৎ। এ কারণেই রোগীদের খিচুড়ি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। খিচুড়ি একটি সম্পূর্ণ খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। এতে ডাল থেকে প্রোটিন এবং ভাত থেকে কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়।শুধু তাই নয়, খিচুড়ি থেকে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও পায়। যদি খিচুড়ির টেস্ট না আসে তাহলে ধনে পাতা ও লেবুর রস মেশাতে পারেন। এবং এটি পুদিনা চাটনি বা দই দিয়েও উপভোগ করতে পারেন।
সবুজ শাক সবজি স্যুপ:
জ্বর হলে কিছু খেতে ভালো লাগে না, তবে সবুজ শাক দিয়ে স্যুপ বানিয়ে পান করলে খুব উপকার পাওয়া যায়। এতে মশলা যোগ করলে এর স্বাদ ভালো হয়ে যায়। সবুজ শাক-সবজিতে ফাইবার ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি পুষ্টিকর উপাদানে পরিপূর্ণ। সবজির স্যুপ ভাইরাল জ্বরও দূর করতে পারে।
নারকেলের জল :
নারকেলের জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পারে। এটি পান করলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট বাড়ে। নারকেল জল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ফল:
কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে জ্বরে ফল এড়িয়ে চলা উচিৎ, তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তা নয়। যখনই জ্বর আসে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এই সময় ফল খেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দ্রুত আরাম দেয়।
চিকেন স্যুপ:
জ্বরের পর দুর্বল হয়ে পড়া শরীরকে শক্তি দিতে চিকেন স্যুপও পান করতে পারেন। মুরগির স্যুপে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল এবং ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি শরীরে জলের অভাব পূরণ করে এবং তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। চিকেন স্যুপ সহজেই টক্সিন বের করে দেয়। এতে সোডিয়াম পাওয়া যায়, যা দেহে ইলেক্ট্রোলাইট তৈরি করে।
No comments:
Post a Comment