অনেকেরই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার অভ্যাস আছে। বার্ধক্যের সঙ্গে এই জাতীয় প্রভাবগুলি দেখা দেওয়া সাধারণ সমস্যা । কিন্তু একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে যারা নাক ডাকেন তাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। প্রায় ৪৫০০ বয়স্ক মানুষকে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ঘুমের সমস্যাগুলি স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার সঙ্গে যুক্ত কিনা তা গবেষণায় দেখা গেছে।
তথ্য অনুসারে, গালওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর ক্রিস্টিন ম্যাকার্থি বলেছেন যে আমাদের ফলাফলগুলি ইঙ্গিত করে যে ঘুমের সমস্যা একজন ব্যক্তির স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণায় বলা হয়েছে, ঘুম সংক্রান্ত পাঁচটি সমস্যা বেশি থাকলে যাদের ঘুম সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নেই তাদের তুলনায় স্ট্রোকের ঝুঁকি ৫ গুণ বেশি হতে পারে। যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর প্রায় ১০০,০০০ লোকের স্ট্রোক হয়।
এই জীবন-হুমকির অবস্থা সাধারণত মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালীতে বাধার কারণে ঘটে। নাক ডাকার সমস্যা দেখা যায় প্রায় পাঁচজন ব্রিটিশের মধ্যে দুজনের। যদিও পাঁচজনের মধ্যে একজন রাতে ৭থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমোয় না, যা ডাক্তাররা প্রায়শই সুপারিশ করেন। পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে যে খুব কম ঘুম স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এর পাশাপাশি হৃদরোগ, ডিমেনশিয়াসহ নানা রোগও হতে পারে।
নিউরোলজিতে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে কাজ করেছে। ২২৪৩ জন লোক যারা স্ট্রোকের শিকার হয়েছিল তাদের ২২৫৩ জনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল যারা এই অবস্থাতে ভোগেননি। তাদের ঘুমের ধরন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তারা রাতে কত ঘন্টা ঘুমায়, তারা কীভাবে ঘুমায়, তারা নাক ডাকে কি না এবং ঘুমের সময় শ্বাস নিতে কোন অসুবিধা হয় কিনা?
যারা বলেছে যে তারা পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুময় তাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা ৭ ঘণ্টা ঘুমনোর চেয়ে ৩ গুণ বেশি। যাদের স্লিপ অ্যাপনিয়া (ঘুমনোর সময় শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়) তাদেরও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি। ডাঃ ম্যাকার্থি বলেছেন যে ঘুমের ধরণ উন্নত করা স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমাতে পারে।
No comments:
Post a Comment