সুইন্ডনের ৫৩ বছর বয়সী একজন মহিলা কয়েক মাস ধরে জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছিলেন। ডাক্তারের কাছে তার চেকআপ করালে ডাক্তার বলেন, চিন্তার কিছু নেই। শুধুমাত্র বার্ধক্যের লক্ষণ রয়েছে এবং ব্যথা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের কারণে ঘটছে। কিন্তু দু বছর পরে, তার কস্টোকন্ড্রাইটিস ধরা পড়ে, যা বুকের সঙ্গে পাঁজরের সংযোগকারী তরুণাস্থির প্রদাহ সৃষ্টি করে।
কস্টোকন্ড্রাইটিস ধরা পড়লে, তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়, কিন্তু ওষুধ দেওয়া সত্ত্বেও মহিলার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাই তিনি আবার ডাক্তার দেখান। যেখানে মহিলাটির মায়লোমা ক্যান্সার ধরা পড়ে। এর সঙ্গে তীব্র কিডনি ফেলিয়ার হয়েছে তাও ধরা পড়ে। মহিলার ছেলে জানিয়েছেন, তাঁর মা সারাজীবন তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। প্রতি সপ্তাহে যোগব্যায়াম করতেন। সামগ্রিকভাবে, তিনি একটি ভাল রুটিনও অনুসরণ করেছিলেন।
ওই মহিলা জানান, তার অনেক সময় কাশি ও ব্যথা হতো। এরপর ২০২০ সালে, মহিলার হাঁটুতে ব্যথা শুরু হয়। যদিও চিকিৎসক বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেননি। চলুন তাহলে জেনে নেই মাইলোমা কী-
ব্লাড ক্যান্সারের তৃতীয় সবচেয়ে সাধারণ প্রকার হল মায়লোমা। এটি একটি বিরল রোগ, যা শরীরের কোষকে প্রভাবিত করে। মাইলোমা হাড়, শরীরের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা, কিডনি এবং লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
মাইলোমা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। তবে অনেক সময় তরুণদের মধ্যেও এই রোগ দেখা যায়। মাইলোমা একটি দুরারোগ্য রোগ, যা শুধুমাত্র চিকিৎসা ও ওষুধের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
লক্ষণ:
হাড় সহজেই ভেঙ্গে যাওয়া
হাড়ে ব্যথা হওয়া
অসাড়তা
রক্ত ঘন হওয়া
রক্তশূন্যতা
কিডনির সমস্যা
অস্বাভাবিক রক্তপাত
রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি।
No comments:
Post a Comment