কাতুকুতু! শব্দটির সঙ্গে প্রতিটি বাঙালিই খুব ভালোভাবে পরিচিত। কবি সুকুমার সেনের লেখা এই শব্দটিকে আরও বিস্তার পরিচয় দান করেছেন। আমাদের শরীরের কিছু অংশ এমন আছে, যেখানে যে কেউ আমাদের সুড়সুড়ি দিলে আমরা হাসতে শুরু করি। এটা সবার সঙ্গেই হয়। কিন্তু, নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিল তখন আমরা হাসি না! কিন্তু কেন জানেন? আসুন জেনে নেই এর পেছনের কারণ-
হাসি একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুড়সুড়ি দেওয়ার সময় আমাদের প্রতিক্রিয়া নিজেদেরকে নিরাপদ রাখা। যখন আমাদের শরীরে কেউ হঠাৎ এসে সুড়সুড়ি দেয়, তখন শরীর এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে চলে যায় এবং আমরা অস্বস্তি বোধ করি। আর এই কারণেই, আমরা অনিয়ন্ত্রিতভাবে হাসতে শুরু করি।
কিছু লোক তখনও হাসে, যদি তারা জানে যে কেউ তাদের সুড়সুড়ি দেবে। এই কারণেই কিছু লোক কেবল সুড়সুড়ি দেওয়ার অভিনয় করেই হাসে। যখনই কেউ তাদের হঠাৎ সুড়সুড়ি দেয়,তাদের মস্তিষ্ক তার জন্য প্রস্তুত থাকে না।
তবে যখন আমরা নিজেদের সুড়সুড়ি দিই, তখন আমাদের মস্তিষ্ক জানতে পারে যে এটি আমাদের নিজের হাত এবং সে এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে। তাই আমরা যখন নিজেদের সুড়সুড়ি দেই তখন আমরা হাসি না।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের একজন মস্তিষ্ক বিজ্ঞানীর উদ্ধৃতি দিয়ে, howstuffworks.com সাইট জানিয়েছে যে মস্তিষ্কের সেরিবেলাম অংশটি আমাদের নিজেদেরকে সুড়সুড়ি দেওয়া থেকে বিরত রাখার কাজ করে। সেরিবেলাম মস্তিষ্কের একটি অংশ যা সমস্ত ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে। মস্তিষ্কের এই অংশটি আমাদের শরীরের সব ধরণের সংবেদনের মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে। তাই আমরা যখন নিজেদের সুড়সুড়ি দেই তখন আমরা হাসি না।
No comments:
Post a Comment