রহস্যময় এই দুর্গর ভেতরে গেলে ফিরে আসে না কেউ!
পিঙ্কি রায়, ২০ এপ্রিল: অনেকেই আছে যারা ভূত-প্রেতে বিশ্বাস রাখে না। এবং আমাদের দেশে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে যেতে এখনও ভয় পায় মানুষ। রহস্যময় এসব স্থানে যাওয়া বিপদমুক্ত নয়। তাই আজ আমরা জানাবো দেশের এমনই এক রহস্যময় দুর্গের কথা-
আমাদের দেশ মন্দিরের দেশ। মন্দির ছাড়াও এখানে রয়েছে অনেক দুর্গ । হাজার বছরের পুরনো শত শত দুর্গ রয়েছে এদেশে। এর মধ্যে একটি হল গড়কুন্দর দুর্গ। গড়কুন্দর দুর্গটি খুবই রহস্যময়।
উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে অবস্থিত এই দুর্গটি খুবই ভীতিকর এবং ভূতুড়ে। লক্ষণীয় বিষয় হল এই দুর্গের ইতিহাস কেউ জানে না। ঐতিহাসিক বইতেও এই দুর্গ সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য দেওয়া নেই।
কথিত আছে যে এই দুর্গটি ১১ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এই দুর্গে ৫ তলা রয়েছে। দুর্গের উপরে তিনটি তলা দৃশ্যমান এবং মাটির নীচে দুটি তলা নির্মিত।
স্থানীয় লোকজনের মতানুযায়ী এই দুর্গটি ১৫০০ থেকে ২০০০ বছরের পুরনো। এই এলাকায় চান্দেল, বুন্দেলা এবং খঙ্গাররা রাজত্ব করেছে।
গড়কুণ্ডার দুর্গটি গোলকধাঁধার মতো করে তৈরি। যে এতে প্রবেশ করে সে বিভ্রান্ত হয়ে যায়। কথিত আছে যে এটি নির্মাণ করেছে, সে নিরাপত্তার জন্য এটি নির্মিত করেছিল।
আশ্চর্যের বিষয় হল চার-পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকেও দুর্গটি দেখা যায়। দুর্গের দিকে তাকিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকলে দুর্গে পৌঁছনো যায় না। দুর্গের জন্য আরেকটি পথ তৈরি করা হয়েছে।
কিন্তু এই দুর্গ সম্পর্কিত ভয়ঙ্কর গল্প রয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা জানান, একবার এই দুর্গের পাশ দিয়ে একটি শোভা যাত্রা যাচ্ছিল। দূর্গ দেখা মাত্রই তা পরিদর্শনে চলে যায় সেই লোকেরা। প্রায় ৫০-৬০ জন মানুষ এই দুর্গে গিয়ে আজ পর্যন্ত ফিরে আসেনি।
দূর্গ সম্পর্কিত আরও কিছু ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুর্গের নিচতলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দিনের বেলায়ও সেখানে যাওয়া এক ভীতিকর অভিজ্ঞতা। দূর্গের ভেতরে ভীষণ অন্ধকার।
এই দুর্গ সম্পর্কে আরও বলা হয় যে এখানে হীরা ও সোনার ধন সমাহিত রয়েছে। অনেক লোক এটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়।
No comments:
Post a Comment