রাজনীতিতে আজও স্বর্ণাক্ষরে লেখা এই নারীদের নাম
পিঙ্কি রায়,২৬এপ্রিল: আজকে এই প্রতিবেদনে দেশের সেই সব নারীদের সম্পর্কে চলুন জেনে নেই যারা দেশের রাজনীতিকে দিয়েছিলেন নতুন দিক নির্দেশনা এবং রাজনীতির পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে তাদের নাম-
ইন্দিরা গান্ধী:
দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার কঠিন সিদ্ধান্ত এবং দৃঢ় উদ্দেশ্যের জন্য সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। দেশকে সন্ত্রাসের কবল থেকে বাঁচাতে জরুরি অবস্থার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ করার সাহসও দেখিয়েছিলেন তিনি।
সুচেতা কৃপলানি:
১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত সুচেতা কৃপলানি দেশের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। সুচেতা কৃপলানিকে কয়েকবার জেলেও পাঠানো হয়েছিল।
মীরা কুমার:
মীরা কুমার লোকসভার স্পিকার পদে অধিষ্ঠিত প্রথম মহিলা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। রাজনীতিতে আসার আগে মীরা কুমার স্পেন, ব্রিটেন ও মরিশাসের মতো দেশের হাইকমিশনার ছিলেন। বিয়ের পর রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। তাঁর শাশুড়ি সুমিত্রা দেবী ছিলেন বিহার রাজ্যের প্রথম ক্যাবিনেট মন্ত্রী।
সুষমা স্বরাজ:
শক্তিশালী বক্তা এবং উজ্জ্বল রাজনীতিবিদ, সুষমা স্বরাজ ছিলেন দিল্লি রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি অনেক স্মরণীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যার উদাহরণ সর্বদা দেওয়া হবে।
সোনিয়া গান্ধী:
১৯৯৯ সালে খারাপভাবে বিক্ষিপ্ত কংগ্রেসকে পুনরায় একত্রিত ও শক্তিশালী করার জন্য কৃতিত্ব সোনিয়া গান্ধীর কাছে যায়। কংগ্রেস ২০০৪ সালে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু সে সময় সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হতে অস্বীকার করেন এবং মনমোহন সিং দেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
নির্মলা সীতারমন:
নির্মলা সীতারামন দেশের প্রথম রাজনীতিবিদ যিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সামলানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর তিনি দেশের অর্থমন্ত্রী হন। তিনিই প্রথম নারী মন্ত্রী যিনি এই দুটি মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুটি মন্ত্রকই সামলাতেন।
No comments:
Post a Comment