রহস্যে ঘেরা গোলকুণ্ডার দুর্গ! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 2 April 2023

রহস্যে ঘেরা গোলকুণ্ডার দুর্গ!

 





এক গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে আমাদের দেশের। প্রাচীন যুগের বহু দুর্গ ও ইমারত এখনও সসম্মানে দাঁড়িয়ে রয়েছে । যেগুলোর রহস্য অনেকেই অজানা। আজ আমরা যে দুর্গের কথা জানবো সেটিও রহস্যে ভরপুর। এই দুর্গটি হল গোলকুণ্ডার দুর্গ।  এটি তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদে অবস্থিত। তাহলে চলুন এই দুর্গ সম্পর্কে জেনে নেই-



 এটি হায়দ্রাবাদের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।  হোসেন সাগর লেক থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।  এই দুর্গটি এই অঞ্চলের সেরা সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে একটি। কথিত আছে যে এই দুর্গের নির্মাণ কাজ ১৬০০-এর দশকে সম্পন্ন হয়েছিল, তবে এটি নির্মাণ ১৩ শতকে কাকাতিয়া রাজবংশ শুরু করেছিল।


 কথিত আছে, একদিন এক রাখাল বালক পাহাড়ে একটি মূর্তি দেখতে পান।  তৎকালীন শাসক কাকাতিয়া রাজা সেই মূর্তিটির খবর পেয়ে এটিকে একটি পবিত্র স্থান বিবেচনা করে এর চারপাশে একটি মাটির দুর্গ নির্মাণ করেন। যা আজ গোলকুন্ডা দুর্গ নামে পরিচিত।



  এই দুর্গটি ৪০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের উপর নির্মিত।  এই দুর্গে আটটি দরজা এবং ৮৭টি বুরুজ রয়েছে।  এই দুর্গের প্রধান ফটকের নাম ফতেহ দরওয়াজা।  যা ১৩ ফুট চওড়া এবং ২৫ ফুট লম্বা। আর এই দরজাটি স্টিলের স্পাইক দিয়ে তৈরি যা এটিকে হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।  এখানে পৌঁছতে এক হাজার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়।



 এই দুর্গটি এমনভাবে তৈরি যে দুর্গের নীচে কেউ হাততালি দিলে গেট থেকে পুরো দুর্গে এর শব্দ শোনা যায়।  এই স্থানটিকে 'তালিয়া মন্ডপ' বা আধুনিক শব্দের অ্যালার্মও বলা হয়। 


 বিশ্বাস করা হয় যে দুর্গের মধ্যে একটি রহস্যময় সুড়ঙ্গও রয়েছে, যা দুর্গের সর্বনিম্ন অংশ দিয়ে চলে গিয়ে দুর্গ থেকে বেরিয়ে গেছে। জরুরি পরিস্থিতিতে রাজপরিবারের সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করা হতো বলে জানা যায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad