মহাশিবরাত্রির দিনে শিব-পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল বলে বলা হয়। তাহলে চলুন জেনে নেই ভগবান শিব-পার্বতীর বিয়ে নিয়ে মজার কিছু কথা-
পৌরাণিক কাহিনী মতে, ভগবান শিব প্রথম মা সতীকে বিয়ে করেছিলেন। আর ভগবান শিবের এই বিবাহ অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতিতে হয়েছিল কারণ সতী শিবকে তার স্বামী হিসাবে মেনে নিয়েছিলেন কিন্তু তার পিতা রাজা দক্ষ এই বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলেন।
শুধুমাত্র পিতা ব্রহ্মার আদেশে তিনি ভগবান শঙ্করের সঙ্গে সতীর বিয়ে দেন। এরপর রাজা দক্ষ তার জামাতা ভোলেনাথকে ঐশ্বরিক যজ্ঞে আমন্ত্রণ না জানিয়ে সকল দেবতাদের সামনে তাকে অপমান করতে শুরু করেন, স্বামীর অসম্মান দেখে যজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহনন করেছিলেন দেবী সতী।
সতী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভগবান শিব কঠোর তপস্যায় নিমগ্ন হয়ে যান। এরপর পার্বতী রূপে জন্ম নেন দেবী সতী। তখন তারকাসুর নামে এক অসুরের আতঙ্ক বেড়ে যায়। তিনি ব্রহ্মার কাছ থেকে বর পেয়েছিলেন যে তিনি কেবল শিবের সন্তানের হাতেই মারা যেতে পারেন। সবাই শিবকে পার্বতীকে বিয়ে করার অনুরোধ করলেও ভগবান শঙ্কর রাজি হননি। কিন্তু পরবর্তীতে জগতের উন্নতির জন্য ভগবান শঙ্কর দেবী পার্বতীকে বিয়ে করতে রাজি হন।
শ্মশানে থাকেন শিব। তাকে পশুপতিও বলা হয় কারণ তিনি সকল জীব, কীটপতঙ্গ, মাকড়সা এবং প্রাণীদের দেবতা। এমতাবস্থায় বিয়ের দিন দেব-দেবী ছাড়াও ভূত-প্রেত, পিশাচ, অসুর, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গও আসে অতিথি হয়ে। এ সময় ভূতের দল দেখে মা পার্বতীর মা ময়না আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তিনি তার মেয়ের হাত শিবের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করেন। পরিস্থিতি খারাপ হতে দেখে পার্বতী শিবকে রাজা হিসেবে প্রস্তুত হতে অনুরোধ করলেন। এরপর শিবকে ফুল ও রত্নখচিত মালা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।
No comments:
Post a Comment