বিশ্বাস করা হয় মহাদেব থাকেন কৈলাস পর্বতে। কৈলাস পর্বত তিব্বতে, হিমালয় থেকে উত্তর অঞ্চল নিয়ে, এই অঞ্চলটি মূলত তিব্বত-চীনের সীমানায় আসে,আর তাই কৈলাস পর্বতটিও চীনে পড়ে। কৈলাশ পর্বতটি তিব্বতে অবস্থিত বলে এর নাম রাখা হয়েছে কাং রামপোচে, যার অর্থ মূল্যবান রত্ন। তাহলে আসুন জেনে নেই কৈলাস পর্বত সম্পর্কে-
বিজ্ঞানী জার নিকোলাই রোমানভ এবং তার দল, কৈলাস পর্বত এবং এর আশেপাশের পরিবেশে অধ্যয়ন করে দেখেন । তখন তাঁরা তিব্বতের মন্দিরগুলিতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন, তারা বলেছিলেন, যে কৈলাস পর্বতের চারপাশে একটি অতিপ্রাকৃত শক্তি রয়েছে, এই শক্তিতে আজও তপস্বীরা টেলিপ্যাথিক করে।
শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও, এখানে বেড়াতে আসা অনেক ভ্রমণকারীরও এই অভিজ্ঞতা হয়েছে যে কৈলাস পর্বতে গেলে সময় দ্রুত চলে যায়। এখানে যাওয়ার পর পর্যটক ও বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে তাদের চুল ও নখ দ্রুত বেড়ে উঠছে। এর ভিত্তিতে তারা অনুমান করে যে কৈলাস পর্বতে সময় দ্রুত চলে যায়। তবে এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এর পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
কৈলাস পর্বতের উচ্চতা প্রায় ৬৭১৪ মিটার। দৃশ্যত, এর চূড়ার আকার একটি বড় শিবলিঙ্গের মতো, যার উপর সারা বছর বরফের সাদা চাদর আবৃত থাকে। এই পর্বত আরোহণ নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়, তবে ১১ শতকে একজন তিব্বতি বৌদ্ধ যোগী মিলারেপা এখানে আরোহণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি এই সম্পর্কে কখনও কারও সঙ্গে কথা বলেননি, তাই এই বিষয়টি আজ পর্যন্ত একটি রহস্যই রয়ে গেছে। রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের এই প্রতিবেদনটি 'আনস্পেশিয়াল' ম্যাগাজিনের জানুয়ারি ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
এমনকি গরম কালে মানস সরোবরের বরফ গলে গেলে অন্যরকম শব্দ শোনা যায়। এই ধ্বনি মৃদঙ্গের মতো শোনায়। এটি মৃদঙ্গের ধ্বনি বলে ভক্তদের বিশ্বাস।
সূর্যোদয়ের সময় সূর্যের রশ্মি কৈলাস পর্বতের শীতল পাহাড়ে পড়লে বিশাল স্বস্তিকের চিহ্ন তৈরি হয়।
No comments:
Post a Comment