কলকাতার পর এবার মালদায় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দলের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ। মালদহের গাজোলে এনসিপিসিআর চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকরা তাকে এলাকায় যেতে বাধা দিয়েছেন। ঘটনা ঘিরে তৃণমূল-বিজেপির দুটি রাজনৈতিক দল একে অপরের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যা ঘিরে এলাকায় চরম অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। যদিও জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন।
রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, “আমরা জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে সাহায্য করতে এসেছি, কিন্তু তারা সেই সহযোগিতা নিতে চায় না। তাদের মতে আমাদের কিছু লুকানোর আছে। কিন্তু এটা সেরকম নয়।"
কলকাতার পর, মালদহের গাজোলে ধর্ষণের শিকারের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ার বাড়িতে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড রাইটস প্রিয়াঙ্ক কানুনগো এবং স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস-এর চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় একে অপরের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল দেখা করে বেড়ানোর মুহূর্তেই কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসন দেখা করতে গেলে রীতিমতো ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নির্যাতিতার বাড়ি চত্বরে। পাশাপাশি সেখানে পৌঁছায় বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী এবং তার সমর্থকরা উত্তর মালদা মহিলা সমিতির তৃণমূল নেত্রী ছন্দা চৌধুরী এবং জেলা পরিষদ সদস্য সাগরিকা সরকার।
অভিযোগ, তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য সাগরিকা সরকার জুতো হাতে বিজেপির বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্রের ওপর চড়াও হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের গায়ে হাত তোলেন লাথি মারেন বলেও অভিযোগ। এরপর স্থানীয় লোকজন একজোট হয়ে সাগরিকা ও অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বদের লাঠি ও বাঁশ দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। রাজ্য পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পরিস্থিতি সামাল দিতে।
উল্লেখ্য, ১৮ই মার্চ মালদহের গাজোলে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা গাজোল থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন এবং অভিযুক্তদের গ্ৰেফতারও করা হয়।
No comments:
Post a Comment