একবার বপনেই ২৫ বছর আয়! এই বাদাম থেকে লক্ষ লক্ষ আয় করেছেন কৃষক
নিজস্ব প্রতিবেদন, ৩০ এপ্রিল, কলকাতা: শুকনো ফল যেমন কাঠবাদাম, আখরোট, কাজুতে প্রচুর পুষ্টি থাকে। শীতল এলাকায় চাষিরা এগুলো চাষ করে থাকেন। কাজু, কাঠবাদাম বা আখরোটের মতো শুকনো ফল কিনতে যান, তবে তাদের দাম প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। কখনও কখনও এগুলো আরও বেশি দামেও বিক্রি হয়। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীরের জলবায়ু কাঠবাদামের জন্য অনুকূল বলে মনে করা হয়। কিন্তু এখন কৃষকরা এ ধরনের মিথ ভাঙতে কাজ করছেন। কৃষকরা সমতল গরম এলাকায়ও কাঠবাদাম বা আমণ্ড চাষ করছেন।
অস্ট্রেলিয়ান কাঠবাদাম চাষ করছেন কৃষকরা
বিহার, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের মতো রাজ্যেও বাদামের চাষ হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান কাঠবাদাম এখানে অনেকি পছন্দ করছেন। গুজরাটে এর চাষ শুরু হয়েছে। কৃষক চাষ করে খুশি এবং অন্যান্য কৃষকদেরও কাঠবাদাম চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরেশ প্যাটেল নামে এক কৃষক গুজরাটের ভাদোদরায় অস্ট্রেলিয়ান কাঠবাদামের চাষ শুরু করেছেন। প্যাটেল তালুকের ওয়েইমার গ্রামে এই বাদাম চাষ করছেন। গাছগুলো এখন ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়েছে। এসব গাছে বাদাম এসেছে এবং প্যাটেল ভালোও আয় হচ্ছে।
পরেশ প্যাটেলের কথানুযায়ী, ২০২০ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ান কাঠবাদাম চাষ করার মন তৈরি করেছিলেন। গুজরাটের আবহাওয়া দেখে মানুষ তাকে এই বাদাম চাষ করতে নিষেধ করেন। কিন্তু পরেশ চাষের সিদ্ধান্তে অনড়। তিনি তার বাগানে ৭০০টি অস্ট্রেলিয়ান কাঠবাদাম গাছ লাগিয়েছেন। তার বাগানে ৩৫০০ কেজি বাদাম উৎপাদন হয়েছে। পরেশ এখন ২৫ বছর ধরে এই বাদাম গাছ থেকে আয় করবেন।
পরেশ প্যাটেল জানান, গুজরাট এবং পাহাড়ি এলাকার আবহাওয়ায় পার্থক্য রয়েছে। গুজরাটে কী এই কাঠবাদাম চাষ করা যায়, এ বিষয়ে ইন্টারনেটে খোঁজ নিয়ে সব তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি যে বাদাম আবিষ্কার করেছিলেন তা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার পর, তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের একটি নার্সারি থেকে অস্ট্রেলিয়ান কাঠবাদামের চারা পান। ১৫ ফুট দূরত্বে সমস্ত গাছপালা রোপণ করা হয়েছে। দেড় বছরের মধ্যে গাছে বাদাম আসতে শুরু করেছে।
No comments:
Post a Comment