পরীক্ষার ফল বেরোতেই আত্মঘাতী একের পর এক পড়ুয়া
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল: পরীক্ষার ফলাফল বেরোতেই আত্মঘাতী একের পর এক পড়ুয়া। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। এখানে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে আত্মহত্যা করেছে ৯ শিক্ষার্থী। বুধবার ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি) ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে এ পর্যন্ত ৯ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। অপর দুই পড়ুয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, শ্রীকাকুলাম জেলার তেক্কালির কাছে বি. তরুণ (১৭) চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ দেন। জেলার ডান্ডু গোপালপুরম গ্রামের বাসিন্দা ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের ছাত্র, ব্যর্থতায় হতাশ। বিশাখাপত্তনম জেলার মলকাপুরম থানার অন্তর্গত ত্রিনাদপুরমে নিজের বাড়িতে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। এ. অখিলেশ্রী ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের কিছু বিষয়ে ফেল করার পর হতাশ হয়ে পড়েন।
এর পাশাপাশি, বি. জগদীশ (১৮) বিশাখাপত্তনমের কাঞ্চরাপালেম এলাকায় নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। তিনি ইন্টারমিডিয়েটের দ্বিতীয় বর্ষে একটি বিষয়ে ফেল করেছিলেন। আনুশা (১৭) ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় একটি বিষয়ে ফেল করার পরে চিত্তোর জেলার একটি হ্রদে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এছাড়াও, চিত্তোর জেলারই বাবু (১৭), ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষে ফেল করার পর কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। টি. কিরণ (১৭) ইন্টারমিডিয়েটের প্রথম বর্ষে কম নম্বর পাওয়ায় হতাশ হয়ে আনাকাপল্লেতে তার বাসভবনে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। উল্লেখ্য, প্রথম বর্ষে পাসের হার ছিল ৬১ এবং দ্বিতীয় বর্ষে ৭২ শতাংশ। মার্চ-এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। একসঙ্গে এতজন পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ এবং মনোবিজ্ঞানীরা শিক্ষার্থীদের কাছে চরম পদক্ষেপ না করার জন্য আবেদন করেছেন। কারণ তাদের সামনে পুরো জীবন পড়ে রয়েছে এবং তারা ব্যর্থতাকে সাফল্যে রূপান্তর করতে পারে।
No comments:
Post a Comment