বিয়ে সবার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শুধু বর-কনে নয়, দুটি পরিবারের মেলবন্ধনের মাধ্যম বিয়ে। হাজার রীতি-নিয়ম মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়। আমাদের দেশে তো বটেই, বিশ্ব জুড়ে বিয়ে ঘিরে আছে নানান সংস্কৃতি। গায়ে হলুদ, মেহেদী, সঙ্গীত, অষ্টমঙ্গলা -কত কিছুই না রীতিনীতি এই বিয়েকে কেন্দ্র করে। নব দম্পতির জীবনে সৌভাগ্য বয়ে আনবে এইসব রীতিনীতি- এমনই মান্যতা রয়েছে, যদিও এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কোথাও নেই।
কিন্তু আপনি কী জানেন, এমনও একটি রীতি রয়েছে, যেখানে বিয়ে মিটতেই একে অপরের গায়ে থুতু ফেলেন? অবাক হলেও সত্যি, এমনই অদ্ভুত রীতি রয়েছে গ্ৰীস দেশে। এই থুতু ফেলা'কে তারা সৌভাগ্যের প্রতীক বলেই মনে করেন। তবে, কালের আবহে এই নিয়মেও কিছুটা বদল এসেছে; এখন আর বর-কনে কেউ একে অপরকে থুতু ছেটান না, মুখ থেকে থুতু দেওয়ার ভান করেন মাত্র।
গ্রিকরাই শুধু নয়, আরও এক উপজাতি বিয়ের দিন কনের গায়ে ছেটান, তবে এই কাজটি করেন মেয়ের বাবা। মেয়ের স্তনে ও মাথায় থুতু ছিটিয়ে তিনি আশীর্বাদ করেন।
উল্লেখ্য, থুতু ছেটানোর পাশাপাশি গ্ৰিকদের বিয়েতে রয়েছে আরও নানান অদ্ভুত রীতি। যেমন-
বিয়ের দিন বরের পকেটে থেকে চিনির বল। তাদের বিশ্বাস, এটি সৌভাগ্য বয়ে আনে নব দম্পতির জীবনে।
বিয়ের পর একটি গ্লাস থেকে ওয়াইন পান করেন বর-কনে। মনে করা হয়, এতে তাদের সম্পর্ক মজবুত হবে।
বিয়েতে বিজোড় সংখ্যক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরিচারিকাও রাখা হয় বিজোড় সংখ্যক। এমনকি বিয়ের আয়োজনে সবই থাকে বিজোড়ে। তাদের মান্যতা জোর সংখ্যা দুর্ভাগ্য বয়ে আনে।
গ্রীসের মানুষরা কেবল জানুয়ারি এবং জুন মাসেই বিয়ে করেন। পাশাপাশি, নব দম্পতির বাসর ঘরের বিছানা সাজানোর রয়েছে বিশেষ নিয়ম। তারা বিশ্বাস করেন এর ওপরেই নির্ভর করে নব দম্পতির প্রথম সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে হবে।
No comments:
Post a Comment