আতিক আহমেদ ও আশরাফ আহমেদের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, হামলাকারীরা মাফিয়া আতিক আহমেদকে লক্ষ্য করে আটটি গুলি ছুড়েছে। একই সঙ্গে আশরাফ আহমেদ পাঁচটি গুলিবিদ্ধ হন। অর্থাৎ দুজনের শরীরেই ১৩টি গুলির চিহ্ন পেয়েছেন চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্তের পর দুই জনের মৃতদেহ প্রয়াগরাজের কাসারি-মাসারি কবরস্থানে আনা হয়েছে। দুজনের মৃতদেহ এখানে দাফন করা হবে।
স্বরূপ রানী হাসপাতালের চার চিকিৎসকের একটি দল আতিক আহমেদের ময়নাতদন্ত করেছে। পোস্টমর্টেম প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের সময় ফরেনসিক চিকিৎসকরাও উপস্থিত ছিলেন। ময়নাতদন্তের আগে দুজনের দেহই প্রথমে স্ক্যান করা হয়।
আতিকের মন্দিরে প্রথম গুলি চালানো হয়
উল্লেখ্য, গতকাল, শনিবার রাতে তিন হামলাকারী মাফিয়া আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফকে পুলিশ হেফাজতে গুলি করে খুন করে। হামলাকারীরা খুব কাছ থেকে গুলি চালায়। প্রথম গুলি আতিককে সরাসরি মন্দিরে লাগে। এর পর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আসা তিন হামলাকারী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আতিক ও আশরাফকে খুন করে।
আতিক ও আশরাফ খুনের পর তিন হামলাকারী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। গভীর রাতে তিন হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তিন হামলাকারীর নাম লাভলেশ তিওয়ার, সানি এবং অরুণ মৌর্য। তিন খুনিকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
একই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশন দুই মাসের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে।
No comments:
Post a Comment