সোমবার রাতে হুগলি রিষড়ায় সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশ ৪২ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। রিষড়া ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহিংসতার বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছেন। গভর্নর সিভি আনন্দ বোস রিষড়ার সহিংসতা প্রভাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং স্পষ্টভাবে বলেছেন যে কোনও মূল্যে সহিংসতা সহ্য করা হবে না।
সোমবার রাতে রিষড়া স্টেশন সংলগ্ন ৪ নম্বর রেলগেটে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছিল। নাশকতা, অগ্নিসংযোগের পর পুলিশের জেল ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়া বর্ধমান প্রধান শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার রাতে সহিংসতার পর পুরো এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। এলাকার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পুলিশ মাইকিং করছে, মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। এদিকে পুলিশ এখন কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না। এলাকায় পুলিশের রুট মার্চ চলছে। রিষড়া স্টেশনে রুট মার্চ শুরু করেছে আরপিএফ। রেলওয়ে পুলিশ প্লাটফর্মে পিকেট বসিয়েছে। চন্দননগর পুলিশ সূত্রে খবর, গতকালের ঘটনায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সহিংসতায় দশজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে।
অন্যদিকে, বাংলার বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপি নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেছেন। বৈঠকের পর সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্যপাল আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি বিষয়টি দেখছেন। তিনি উচ্চ পর্যায়ে কথা বলছেন। তিনি বলেন, বঙ্গীয় বিজেপি রাজ্যপালের কাছে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবী করেছে। বিজেপি এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চায়। পুলিশ শুধু হিন্দুদের গ্রেফতার করছে, কিন্তু দোষী মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই সহিংসতার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
No comments:
Post a Comment