রাজ্যের বেশিরভাগ সামাজিক প্রকল্পের নাম মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া। 'কন্যাশ্রী', 'রূপশ্রী', 'চোখের আলো'-এর মতো অনেক প্রজেক্ট করছেন তিনি। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সচিবালয় ও পর্যটকদের আবাসনের নামকরণ করেন 'নবান্ন', 'উপান্ন', 'ভোরের আলো', 'উত্তীর্ণ', 'উত্তরকন্যা'। কলকাতার অনেক পার্কের নামও দিয়েছেন তিনি। নতুন শব্দ উদ্ভাবন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম প্রিয় কাজ। আর কয়েকদিন পরেই পয়লা বৈশাখ। এর আগে দিঘায় প্রেসক্লাবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি নতুন বাংলা শব্দ তৈরি করলেন। বাংলা নববর্ষের আগে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন ‘শুভনন্দন’। বুধবার দিঘায় দুটি সৈকতের নামও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি একটির নাম দেন ঢেউয়ের সাগর, অন্যটির নাম দেন সূর্য সাগর।
প্রেসক্লাব উদ্বোধনকালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। আমরা অভিনন্দন শব্দটি ব্যবহার করি। আজ থেকে শুভনন্দন শুরু করলাম। অর্থাৎ শুভেচ্ছা দিয়ে শুভ থাকুন, ভালো থাকুন। নতুন নতুন শব্দের আমদানিও তো করতে হবে। শুভকামনা, অভিনন্দন - এর মত কেন শুভনন্দন থাকতে পারে না? এই শব্দে শুভ ও নন্দন দুটোই আছে। বলতে পারেন নান্দনিক।"
এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী নামকরণে বিশেষত্বের চিহ্ন রেখেছেন। কলকাতার একটি রাস্তার নাম ছিল 'সত্যজিৎ রায় ধরণী', যেখানে তিনি শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে বাঘের শাবকের নামকরণ করেছিলেন। এছাড়াও, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের নাম মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত। এর মধ্যে রয়েছে নবান্ন, শুভান্ন, উপান্না, উত্তীর্ণ (আলিপুরের অডিটোরিয়াম)।
মূলত জেলার সাংবাদিকদের জন্য দিঘায় এই প্রেসক্লাবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আপনি মিডিয়া হলেও, আপনি সরকারের অংশ। আপনারা আমাদের বর্ধিত পরিবার।" নবনির্মিত প্রেসক্লাব থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বার্তাও দেন।
No comments:
Post a Comment