সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) মদ কেলেঙ্কারি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রায় ৯ ঘন্টা জেরা করেছে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার রাত ৮:৩৪ মিনিটে সিবিআই সদর দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রহণ করতে সিবিআই সদর দফতরে পৌঁছেছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং আম আদমি পার্টির অনেক বড় নেতা। সকাল ১১:১৫ থেকে, সিবিআই মদ কেলেঙ্কারি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সিবিআই সদর দফতর থেকে সরাসরি সিভিল লাইনে নিজের বাড়িতে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কী জিজ্ঞাসা করল সিবিআই? এই বিষয়ে কেজরিওয়াল বলেছেন যে সংস্থা ২০২০ সাল থেকে প্রায় ৫৬ টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সব কিছুর খোঁজখবর নিয়েছে সিবিআই। এর সঙ্গে কেজরিওয়াল বলেছেন, এই পুরো মামলাটি ভুয়ো। তাদের কিছু নেই। কোনও প্রমাণ নেই। আমরা কট্টর সৎ দলের লোক।
দিল্লী বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে আগামীকাল একটি হাউস হবে। নিশ্চয়ই হবে। এভাবেই বাড়ি ডাকে। তাই আমি চাই লেফটেন্যান্ট গভর্নর সংবিধান একটু পড়ুন, আইন ও সংবিধান সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখেন এমন একজন উপদেষ্টা রাখুন।
অন্যদিকে দিল্লী পুলিশ দলটির অনেক বড় নেতাকে নাজফগড় এলাকা থেকে ছেড়ে দিয়েছে। এই সময় আপ নেতা সঞ্জয় সিংও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে মুর্দাবাদ স্লোগান দেন।
এর আগে, ভিডিওটি প্রকাশ করার সময়, কেজরিওয়াল নিজেকে গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। রবিবার সকাল ১১.১০ মিনিটে কেজরিওয়াল এই ভিডিওটি প্রকাশ করেন। এই ভিডিওতে তিনি দাবী করেছিলেন যে বিজেপি হয়তো সিবিআইকে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে।
কেজরিওয়ালকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের বিরুদ্ধে রবিবার আম আদমি পার্টির কর্মী ও নেতারা তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। সিবিআই সদর দফতরের বাইরে এক হাজারের বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ বলেছিল যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিবিআই সদর দফতরের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। ৪ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকে আটকও করেছে পুলিশ। নাজফগড় থেকে আম আদমি পার্টির আটক নেতাদের ছেড়ে দিয়েছে দিল্লী পুলিশ।
No comments:
Post a Comment