গর্ভাবস্থায় নারীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সময়ে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, ব্যথা ও পা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা নারীদের কষ্ট দিতে পারে। এসবের পাশাপাশি কিছু নারীর জিভে ফোসকা বা ঘা-এর সমস্যাও হতে পারে। ভিটামিনের অভাবে এই সমস্যা হয়। কিন্তু গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে হরমোনের দ্রুত ওঠানামার কারণে এই সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এই সমস্যায় খাবার চিবিয়ে খেতে অসুবিধা হয়। এছাড়াও, খাবার গিলতেও সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা নিয়ে আমরা যখন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিভা বানসালের সাথে কথা বলি, তিনি এই সমস্যার কিছু প্রধান কারণ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন।
গর্ভাবস্থায় জিভে ফোসকা বা ঘা হওয়ার কারণ কী?
ভিটামিনের অভাব -
গর্ভাবস্থায়, কিছু মহিলার ভিটামিন এবং মিনারেলসের অভাবের কারণে জিভে ফোসকা বা ঘা হওয়ার সমস্যা হতে পারে। শরীরে ভিটামিন বি ১২ এবং ফোলেটের ঘাটতি জিভের ঘা-এর অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
উদ্বেগ এবং চাপ -
গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ নারীকে উদ্বেগ ও মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়। আসলে, হরমোনের পরিবর্তনের কারণে, এই সময়ে মহিলাদের মেজাজের পরিবর্তন দ্রুত হয়। এর পাশাপাশি কিছু মহিলা সন্তান প্রসব নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন ও চাপ নিতে শুরু করেন। এই কারণে এই সময়ে মহিলাদের জিভে ফোসকা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়।
জিভের কামড় -
অনেক সময় খাবার চিবানোর সময় জিভ কেটে যায়। এ ছাড়া গরম জিনিস খাওয়ার কারণে জিভে ফোস্কা পড়ার সমস্যা হয়। খাওয়ার সময় জিভ কাটার কারণে জিভে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থা -
গর্ভাবস্থায়, কিছু কিছু মহিলার ডায়াবেটিস এবং অ্যানিমিয়ার মতো নির্দিষ্ট চিকিৎসার কারণেও জিভে ফোসকা পড়ার বা ঘা হওয়ার সমস্যা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ।
গর্ভাবস্থায় জিভে ফোসকা বা ঘা-এর লক্ষণগুলি কী কী?
জিভে ফোসকা,
জিভে ঘা,
জিভে লাল দাগ,
জিভে সাদা দাগের আবির্ভাব ইত্যাদি।
গর্ভাবস্থায় জিভের ফোসকা বা ঘা কীভাবে প্রতিরোধ করবেন -
গর্ভাবস্থায় জিভে ফোসকা পড়লে বা ঘা হলে কিছু প্রতিকার অবলম্বন করা যেতে পারে। এই ব্যবস্থাগুলি অবলম্বন করে, জিভের ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমানো যায় -
শক্ত খাবার খাওয়া এড়াতে হবে।
এই সমস্যায় সকাল-সন্ধ্যা লবণজল দিয়ে কুলি করতে পারেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করতে হবে। কারণ এই সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন।
আপনি যদি জিভে ফোসকা বা ঘা-এর কারণে আরও সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ। ডাক্তার আপনাকে কিছু ওষুধ এবং মলম দিতে পারেন যা আপনি ঘা-এ লাগাতে পারেন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment