প্রিম্যাচিওরড শিশু হল তারা যারা পূর্ণ ৯ মাস না হয়ে প্রসবের সময়ের আগেই জন্ম নেয়।সময়ের আগেই জন্মগ্রহণকারী শিশুর সম্পূর্ণ বিকাশ হয় না বা দুর্বল থাকে। তাই এই ধরনের শিশুদের আরও বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়।
প্রিম্যাচিওরড শিশু অনেক সমস্যা নিয়ে আসে, যার মধ্যে শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে সংক্রমণ ইত্যাদিও থাকে। এসব সমস্যার কারণে এই ধরনের শিশুদের আরও বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়। তাহলে চলুন জেনে নেই এই শিশুদের যত্ন নেওয়ার কিছু সহজ উপায়।
অকাল প্রসবের কারণ -
যে সকল শিশু ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্ম নেয় বা ২ কিলোর কম ওজনের হয় তাদের প্রিম্যাচিওরড বেবি বলা হয়। বর্তমানে দূষণ, সঠিক পুষ্টির অভাব ইত্যাদি নানা কারণে এই ধরনের শিশুদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এই শিশুদের সম্পূর্ণ বিকাশ হয় না বা দুর্বল থাকে।
* যেসব মহিলা পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্য পান না তাদের অকাল প্রসব হতে পারে।
* যেসব নারী গর্ভাবস্থায় সঠিক পরিচর্যা পান না বা ডাক্তারি পরীক্ষার অভাবে হতে পারে।
* গর্ভবতী মহিলার যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদির মতো কোনও রোগ থাকে, তাহলে অকাল প্রসবের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
* গর্ভাবস্থায় যদি মহিলা আরও বেশি চাপ বা উদ্বেগের মধ্যে থাকেন তবে এটিও এর কারণ হতে পারে।
* যেসব মহিলারা তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেন না তাদেরও এই সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
* কিছু ফল আছে যেগুলো খেলে প্রিটার্ম ডেলিভারির ভয় থাকে যেমন আনারস, পেঁপে ইত্যাদি।
* এছাড়াও, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতিও এর একটি কারণ হতে পারে।
* যে মহিলারা ক্রমাগত দূষণের সংস্পর্শে আসেন বা কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয় এমন কারখানায় কাজ করেন, তারা প্রি-টার্ম ডেলিভারির ঝুঁকিতে থাকেন।
প্রিম্যাচিওরড শিশুর লক্ষণ -
* এই শিশুরা খুবই দুর্বল হয়ে থাকে।
* এই ধরনের শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম থাকে।
* এই শিশুদের প্রথম কয়েক দিন শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।
* প্রিম্যাচিওরড বাচ্চাদের ওজনও কম থাকে, তাই তাদের ঘন ঘন খাওয়াতে হয়।
* অপরিণত শিশুদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই শিশুর জন্মের পর তাদের অনেক জায়গায় নার্সারি অর্থাৎ শিশু আইসিইউতে রাখা হয়।
* এই ধরনের শিশুদের রক্তে গ্লুকোজের অভাব হতে পারে।
No comments:
Post a Comment