কয়েক বছর আগেও টিভিই ছিল বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম, কিন্তু বর্তমান সময়ে বিনোদনের অনেক অপশন এসেছে এবং সেই সঙ্গে বেড়েছে শিশুদের চোখের চশমা। চশমা পরা মানে বাচ্চাদের চোখ দুর্বল হয়ে যাওয়া। কয়েক বছর আগেও শিশুরা দাদু-ঠাকুমার কাছে গল্প শুনত, আউটডোর গেমস খেলত, যা তাদের ব্যায়াম করাতো এবং তাদের চোখের চাপ কমাতো। কিন্তু এখনকার সময় সম্পূর্ণ বিপরীত। গল্প শোনা এবং বাইরে খেলার পরিবর্তে শিশুরা মোবাইল বা কম্পিউটারে গেম খেলতেই বেশিপছন্দ করে। আজকাল শিশুরা তাদের শরীর খুব একটা নড়াচড়া করতে পছন্দ করে না এবং সারাদিন টেলিভিশন, ভিডিও গেম, মোবাইল ইত্যাদি ইলেকট্রনিক গ্যাজেটে মগ্ন থাকে, যার ফলে তাদের ব্যায়াম হয় না এবং চোখের উপরও খারাপ প্রভাব পড়ে।
কম দৃষ্টিশক্তির অনেক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুদের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়ার কারণ -
দীর্ঘ সময়ের জন্য এবং কাছের থেকে টেলিভিশন দেখা।
কম আলোতে পড়াশুনা করলে চোখের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়ে।
রাতে বেশিক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করার কারণে মোবাইলের রশ্মি বের হয়ে চোখের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
শিশুরা আউটডোর গেম খেলার পরিবর্তে কম্পিউটারে গেম খেলে যার কারণে তাদের কোনও ব্যায়াম হয় না। এটি শিশুদের চোখের পাশাপাশি পুরো শরীরকেও প্রভাবিত করে।
আজকের খাদ্যাভ্যাসও দুর্বল দৃষ্টিশক্তির একটি প্রধান কারণ। আজকাল শিশুরা সবুজ শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরিবর্তে জাঙ্ক ফুড খেতেই বেশি পছন্দ করে।
চোখের যত্নের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার -
আমাদের শিশুদের চোখের যত্ন ভালো করে নেওয়া উচিৎ যাতে তারা চশমা না পরে এবং যদি তারা চশমা পরে তাহলে তা অপসারণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিৎ। প্রথম থেকেই তাদের চোখের ভালো যত্ন নিলে তাদের চশমা থেকে বাঁচানো যেতে পারে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে পার্কের সবুজ ঘাসে খালি পায়ে হাঁটলে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়। সকালে তাজা বাতাস সারাদিন মন ও শরীর ভালো করে দেয় এবং ক্লান্তিবোধ হয় না।
প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে সরিষার তেল দিয়ে শিশুর পায়ের তলায় মালিশ করুন এবং মাথায়ও মালিশ করুন। এতে দৃষ্টিশক্তিও বাড়ে।
৮ থেকে ১০ টি গোলাপ পাতা ও তুঁত পাতা নিয়ে এক গ্লাস জলে কিছুক্ষণ রেখে এই জলটি ফিল্টার করে বাচ্চাদের চোখ ধুয়ে ফেললে চশমা দূর করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের রস পান করলে চশমা দূর হয় এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।
শিশুকে প্রতিদিন একটি করে আমলকি খেতে দিন। এর ফলে চোখের জ্যোতিও বৃদ্ধি পায় এবং শরীরেরও বিকাশ ঘটে।
আখরোট তেল দিয়ে বাচ্চাদের চোখের চারপাশে ম্যাসাজ করলে চশমার পাওয়ার কমে যায়।
চোখের চশমা দূর করতে রাতে একটি মাটির পাত্রে ত্রিফলা ভিজিয়ে রেখে একটি সুতির কাপড় দিয়ে ৩ থেকে ৪ বার ভালো করে ছেঁকে নিন। তারপর এই জল দিয়ে চোখ ধুলে চোখের রোগ সারাতে সাহায্য করে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment