কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধর্নার পরে, ১২০০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ পেল রাজ্য। মূলত এই টাকা দেওয়া হয়েছে 'মিড ডে মিল' ও 'সমগ্ৰ শিক্ষা মিশন'-এর জন্য। এই দুই ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া দ্বিতীয় কিস্তি মার্চ মাসে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, মার্চের শেষ নাগাদ টাকা পৌঁছে যায় রাজ্যে। এর মধ্যে মিড-ডে মিলের জন্য ৬৩৮ কোটি এবং সমগ্র শিক্ষা মিশনের জন্য ৫৭৬ কোটি টাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের টাকা আটকানোর অভিযোগ করেছেন। 'মিড ডে মিল'-এর টাকা নিয়েও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এবার সেই খাতের টাকা এসেছে রাজ্যে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র 'মিড ডে মিল' নয়, ১০০ দিনের কাজ সহ অনেক প্রকল্পের জন্য টাকা আটকে রাখার অভিযোগ করেন। ২৯ ও ৩০ মার্চ তিনি ধর্নায় বসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, এই দুই দিনের মধ্যে কেন্দ্র তাঁর সাথে যোগাযোগ করবে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একথা বলেন তিনি। কিন্তু কোনও যোগাযোগ হয়নি। বকেয়া দেওয়ার কোনও আশ্বাসও দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গই দেশের একমাত্র রাজ্য যা কেন্দ্র থেকে আবাসন প্রকল্পের অর্থ পায়নি। খোদ কেন্দ্রই এই তথ্য দিয়েছে। সেই ঘটনায়ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেছিলেন যে, ১০০ দিনের কাজের জন্য বিশাল পরিমাণ বকেয়া রয়েছে। কেন্দ্র সাধারণ মানুষের টাকা দিচ্ছে না। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এর পরে কেন্দ্র মিড-ডে মিলের জন্য ৬৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
প্রসঙ্গত, মিড-ডে মিল নিয়েও অনেক বিতর্ক রয়েছে। এমনকি, একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং টিম রাজ্যে এসেছিল মিড-ডে মিলের খাবারের মান পরীক্ষা করতে। তৃণমূল নেতাদের একাংশ রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল পাঠানোর বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাজ্যের শাসক দলের নেতারা প্রশ্নও তোলেন কেন কেন্দ্র বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে তদন্ত দল পাঠাচ্ছে না?
এরই মাঝে, রাজ্যের জন্য আর্থিক বরাদ্দকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার পর কেন্দ্রের দেওয়া এই বরাদ্দ তৃণমূল নেত্রীর বড় জয় বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
No comments:
Post a Comment