রিষড়ার পর হাওড়া, কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে মাঝপথেই আটকে দিল পুলিশ। হাওড়ার রামনবমীতে অশান্তির ঘটনার সরজমিনে খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় ফ্যাট ফাইন্ডিং দলকে আটকে দেওয়া হয় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল ট্যাক্সে। বেশ কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডার পর কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল ট্যাক্সে ফ্যাট ফাইন্ডিং কমিটির ৬ জন সদস্য এর প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছালে তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে। তাদের জানানো হয়, বর্তমানে শিবপুরের ওই অঞ্চলটি ১৪৪ ধারার অধীনে রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে তারা ওই জায়গায় প্রবেশ করলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। নতুন করে কোনও রকম অশান্তি যাতে না ঘটে, সেই কারণেই তাদের যেতে অনুমতি দিতে পারছেন না হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
এই নিয়েই দু পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলতে থাকে প্রায় ঘন্টা খানেক। তবুও যাওয়ার অনুমতি না পেয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে ফিরে যান তারা। গোটা বিষয় নিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাজ্য সরকারের নিন্দা করেন। একই সঙ্গে তাঁদের আটকে দেওয়াকে আইন বহির্ভূত বলেও দাবী করছেন এবং এই নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জানাবেন।
উল্লেখ্য, নয়াদিল্লা থেকে রাজ্যে এসেছেন ফ্যাট ফান্টিং টিম অন হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশনের সদস্যরা। তাদের মধ্যে এক সদস্য নরসিমা রেড্ডি, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এই আটকে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, এখানে কি চলছে, আপনাদের মাধ্যমে সারা দেশ জানছে। এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কিছু হল না। আমরাও এখানে যা দেখলাম, যাকে যাকে রিপোর্ট দেওয়ার দিয়ে দেব।'
উল্লেখ্য, রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়া এবং হুগলি জেলায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র থেকে এসেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কিন্তু শনিবার ১৪৪ ধারার কারণ দেখিয়ে রিষড়া যেতে বাঁধা দেয় পুলিশ এবং রবিবারও ফের একই কারণে হাওড়া যেতে বাঁধা পেল কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।
No comments:
Post a Comment