শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার ও প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফকে খুনের ঘটনায় তোলপাড় দেশ। এই ইস্যুতে এবারে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করেছেন যে উত্তরপ্রদেশে অরাজকতা চলছে এবং আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। মানুষ চিন্তা না করেই আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। মমতার পাশাপাশি, তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয় ও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও যোগী সরকারকে নিশানা করেছেন।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয় এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবী জানান। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন যে, 'ধারা ৩৫৬ জারি করার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি কি? বিজেপি কি বলেন?''
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার ট্যুইট করেছেন, “উত্তরপ্রদেশের নির্লজ্জ নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলার সম্পূর্ণ পতন দেখে আমি হতবাক। এটা লজ্জাজনক যে অপরাধীরা এখন পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি না ভেবেই আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। আমাদের সাংবিধানিক গণতন্ত্রে এ ধরনের বেআইনি কাজের কোনও স্থান নেই।”
এছাড়াও, বীরভূমের সভা থেকে এই একই ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের সঙ্গে বাংলার তুলনা করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “উত্তরপ্রদেশের মতো এনকাউন্টার এখানে অনুমতি নেই। রাজ্যে এনকাউন্টার সংস্কৃতি তৈরি হতে দেওয়া যাবে না। বিজেপির কথায় এলে বাংলা উত্তরপ্রদেশ হয়ে যাবে।"
তিনি আরও বলেন, 'বাংলায় রাম রাজত্ব রয়েছে, মানুষ তার নিজের অধিকারে বাঁচে। ধর্ম-জাতি নির্বিশেষে মানুষ সুন্দরভাবে রয়েছে। নিশ্চিতভাবে উস্কানি দেওয়া হয়, দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দৃঢ়তার সাথে তাঁর প্রশাসন দিয়ে এর মোকাবিলা করেন।'
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'উত্তরপ্রদেশ আজ দেখিয়ে দিয়েছে যে, বিজেপির থোঁতা মুখ ভোঁতা হয়ে গিয়েছে, তাদের দাবী ল অ্যান্ড অর্ডার, সেটা নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে, শুধু উত্তরপ্রদেশের ঘটনাগুলোতে।'
No comments:
Post a Comment