এমব্রয়ডারি কারখানায় কম্প্রেসার সিলিন্ডার ফেটে মৃত্যু হল কারখানার মালিকের। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গার নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুক্তারপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম বরুণ ঘোষ, বয়স ৩৭ বছর। তার বাড়ি দেগঙ্গার নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নুরনগর ঘোষপাড়ায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুক্তারপুর গ্রামে বরুণের একটি কম্পিউটার চালিত এমব্রয়ডারি কারখানা আছে। শনিবার সারা রাত ঐ কারখানায় একজন কর্মচারী কাজ করেছেন। ভোরবেলা ওই কর্মচারী মেশিন বন্ধ করে চলে যায়। পরে সকালবেলা কারখানার মালিক বরুণ নিজে যান মেশিন চালাতে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কারখানা খোলার কিছুক্ষণ পরই একটা বিকট আওয়াজ হয়। আওয়াজ শুনে গ্রামের লোকজন ওই কারখানায় ছুটে যান। তারা গিয়ে দেখেন, মেশিনের কম্প্রেসার সিলিন্ডার ফেটে গিয়েছে। পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন বরুণ। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে, পরে সেখান থেকে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বরুণকে। সেখানে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'এদিন সকালে সাড়ে ৫ টা নাগাদ উনি কারখানায় আসেন। সেখানেই সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে এই দুর্ঘটনা ঘটে কাজের সময়। তাঁর পায়ে গভীর চোট লাগে। বিকট আওয়াজে স্থানীয়রা সবাই ছুটে যাই ও ওনাকে বারাসত হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আর জি কর-এ স্থানান্তর করা হয়।'
মৃতের দাদা অরুণ ঘোষ বলেন, 'ওর নিজস্ব এমব্রয়ডারি মেশিন আছে। এদিন সকালে গিয়ে মেশিন চালু করার সাথে সাথে কম্প্রেসার সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে।' তিনি জানান ওখানেই প্রায় ১০ মিনিট তাঁর ভাই পড়েছিলেন। আশেপাশের লোকজন গিয়ে তাঁকে বার করে আনেন। প্রথমে বারাসত হাসপাতাল ও পরবর্তীতে তাকে আর জি কর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় বরুণের।
ওদিকে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান দেগঙ্গা থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা।
No comments:
Post a Comment