দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি করোনার পজিটিভিটির হার ক্রমাগত বাড়ছে বাংলায়। রাজ্যের অনেক জেলায় করোনা পজিটিভিটির হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সাপ্তাহিক ইতিবাচকতার হার কলকাতায় ১৩% এবং কালিম্পং এবং দার্জিলিংয়ে যথাক্রমে ১২.৫% এবং ১০.১% হয়েছে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা পরিস্থিতি এবং গ্রীষ্মের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন। রাজ্যে মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় ৯০টি নতুন আক্রান্ত ব্যক্তি নথিভুক্ত হয়েছে, যা প্রায় ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সক্রিয় সংক্রমণের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪১।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও অল্প কিছু রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। অক্টোবরের শেষে বাংলায় এমন অনেক সংক্রমণ হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাই হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
একজন ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্ট এক্সবিবি ১.৫, ক্রাকেন নামেও পরিচিত, এর কেস বাড়ছে। ঊর্ধ্বতন আধিকারিক বলেছেন, “আরও বেশি লোক এখন পরীক্ষার জন্য যাচ্ছেন। তবে, মানুষের অযথা আতঙ্কিত হওয়া উচিৎ নয় কারণ সংক্রমণ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বেশির ভাগ মানুষই কেবল হালকা উপসর্গ পাচ্ছেন, কিন্তু যারা ইতিমধ্যেই অসুস্থ বা অন্যান্য রোগে ভুগছেন তাদের সতর্ক হওয়া দরকার।"
অন্যদিকে, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার, তাই এই প্রচণ্ড গরমে রাজ্যে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেকেই করোনার প্রত্যাবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মাস্ক ব্যবহারের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কিছু নিয়মের সঙ্গে নির্দেশিকা জারি করতে পারে নবান্ন। সেই নিয়মগুলির মধ্যে থাকবে নিয়মিত মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার। এর পাশাপাশি থার্মাল বন্দুক ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও গ্রীষ্মের ছুটির পরে স্কুলগুলিতে করোনা নিয়ম জারি করা যায় কিনা তাও বিবেচনা করা হচ্ছে। এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment