গর্ভাবস্থায় পুষ্টির বিশেষ যত্ন নিতে হয়। বিশেষ করে ভিটামিন-ডি গর্ভাবস্থায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভিটামিন-ডি একজন নারীর শরীরের জন্য এমন একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান, যা একটি হরমোন হিসেবেও কাজ করে এবং এটি মানবদেহেই উৎপন্ন হয়। গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি এর মাত্রা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি শুধু হাড়কেই মজবুত করে না রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়, যা গর্ভাবস্থায় অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। আসুন জেনে নিই নারীদের গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি-এর অভাবজনিত উপসর্গগুলি কী কী এবং এর ফলে কী কী অসুবিধা হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ভিটামিন-ডি এর অভাবের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া -
গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে মহিলাদের অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এই সময় তাদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, রক্তচাপও অনিয়ন্ত্রিত থাকে, এ ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে অকাল প্রসবের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ মহিলারই ভিটামিন ডি-এর অভাব হয়। মা ও শিশুর ওপর এর খারাপ প্রভাব পড়ে। ফলে জন্মের পর শিশুর রিকেট রোগ হতে পারে। এটি একটি গুরুতর রোগ যেখানে শিশুদের মধ্যে আঁকাবাঁকা হাড় এবং দাঁতের বিকাশ না হওয়ার মতো অবস্থা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি-এর অভাবের লক্ষণ -
গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে মহিলাদের শরীরে অনেক ধরনের উপসর্গ (ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি সিম্পটম) দেখা যায়, যেমন:
হাড়ে ব্যথা,
পেশী ব্যথা এবং ক্র্যাম্প,
অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ,
শারীরিক দুর্বলতা,
মুড স্যুইং,
বিরক্তি,
অপরিমিত ঘাম ।
ভিটামিন ডি-এর অভাবের প্রতিকার -
গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে, মহিলাদের ভিটামিন ডি-এর জন্য নিয়মিত সান বাথ নেওয়া উচিৎ। এজন্য প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে বসুন। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান। মাশরুম, ডিম এবং অন্যান্য অনেক খাবার ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। অনেক সময় ডাক্তাররা ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়ারও পরামর্শ দেন যখন ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিৎ নয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment