সোনা পাচারের পরিকল্পনায় জল, অবৈধ বিদেশি সোনা সহ দুজনকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলা ও একজন পুরুষ। তারা দুজনই মিজোরামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৩টি সোনার বার, যা ছোট ছোট সিলিন্ডারের আকারে ভাগ করা ছিল। ধৃতদের নাম মার্ক চিংসিয়ানপাওয়া, বয়স ২৯ বছর এবং লিয়ানগাইলুনি, বয়স ৩৬ বছর।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ফাটাপুকুরের পানিকৌড়ি টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালায় ডিআরআই। সেখানে একটি চার চাকার গাড়ি আটক করে তারা। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই অবৈধ সোনা। ওই গাড়িতে চালক সমেত তিন জন ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে, চালক এই ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় তাকে গ্রেফতার করেনি ডিআরআই।
জানা যায়, সোনাগুলি অসম হয়ে কলকাতায় পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে সোনা নিয়ে যাচ্ছিল ওই দুজন। অসমে তারা ওই চালককে ভাড়া করে নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য ৮ কোটি ৬১ লক্ষ ৪৬ হাজার। সোনা ছাড়াও ওই গাড়ি ও তিনটি মোবাইল ফোন আটক করে ডিআরআই। তাদের শিলিগুড়ির ডিআরআই অফিসে এনে নির্দিষ্ট ধারায় গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের শুক্রবার শিলিগুড়ি আদলতে তোলা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ডিআরআই।
ডিআরআই পক্ষের অ্যাডভোকেট ত্রিদীপ সাহা বলেন, দুজনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে; একজন মহিলা ও একজন পুরুষ। এরা মিজোরামের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৩ টি ছোট ছোট সিলিন্ডার টাইপের সোনার বার। উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন ১৪ কিলো ২৮১ গ্ৰাম এবং এর বাজারমূল্য ৮ কোটি ৬১ লক্ষ ৪৬ হাজার। আসাম হয়ে এরা আসছিল। সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে তাদের গাড়ি আটক করতে প্রথমে তারা অস্বীকার করে। এরপর গাড়িতে তল্লাসি চালালে বক্স থেকে সোনাগুলো উদ্ধার হয়। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে তোলা হয়।
তিনি জানান, মায়ানমার থেকে মিজোরাম ও আসাম হয়ে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই সোনা। প্রথমে তাদের আটক ও পরে গ্ৰেফতার করা হয়।
No comments:
Post a Comment