কাকভোরে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডায় অবস্থিত সেনা ছাউনিতে গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য। সেনানিবাস এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর কাউকে সেনানিবাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ সূত্র বলছে, ক্যান্টে গুলি চালানো হয়েছে, যাতে ৪ সেনার মৃত্যু গেছে।
সেনাবাহিনীর দক্ষিণ পশ্চিমী কমান্ড একটি বিবৃতি জারি করেছে যে আজ (বুধবার) ভোর ৪.৩৫ নাগাদ ভাটিন্ডা সামরিক স্টেশনের ভিতরে গুলির ঘটনায় চারজন হতাহত হয়েছেন। স্টেশন ক্যুইক রিঅ্যাকশন টিম সক্রিয় করা হয়েছে এবং এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে ও সিল করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান চলছে।
পুলিশ সূত্রেও জানা গেছে, ক্যান্টে গোলাগুলির ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আপাতত তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
সূত্রের খবর, সেনাবাহিনী পাঞ্জাব পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিককে বলেছে যে, এটি কোনও সন্ত্রাসী ঘটনা নয়। ৮০ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি অফিসার্স মেসে গুলি চালানো হয়। কয়েকদিন আগে ইউনিটের গার্ড রুম থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল নিখোঁজ হয়। মনে হচ্ছে সেই থেকেই এই গুলি চালানো হয়েছে। সন্দেহভাজন এক নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
ভাটিন্ডার এসএসপি গুলনীত খুরুনা বলেন যে, 'সেনাবাহিনীর শেয়ার করা তথ্য অনুসারে, কোনও সন্ত্রাসী হুমকির সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, সামরিক স্টেশনের আধিকারিকরা এখনও হতাহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি।'
তিনি বলেন, "প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা যায় যে, কিছু সেনা নির্বিচারে গুলি চালায়।" সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই ক্যুইক রেসপন্স টিমকে সতর্ক করা হয়েছে এবং এলাকাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ স্কুলও বন্ধ রাখা হয়েছে। পারস্পরিক গুলিবিনিময়ের জেরে এমন বড় ঘটনা ঘটেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত, তদন্ত চলছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এও আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, হামলাকারী সাদা পোশাকে ছিল এবং কয়েকদিন আগে ইনসাস রাইফেলটি নিখোঁজ হয়েছিল। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং স্টেশনটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর অনুমতি না থাকায় সামরিক স্টেশনের ভেতরে যেতে পারেনি পুলিশ।
No comments:
Post a Comment