ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সোনা চোরাচালান ঠেকাতে নতুন পরিকল্পনা করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোনা চোরাচালানের তথ্য দিতে সীমান্ত এলাকার স্থানীয় জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে। বিএসএফের তরফে বলা হয়েছে, সঠিক তথ্য দিলে অর্থ পুরস্কার পাবেন। তথ্যদাতার পরিচয়ও গোপন রাখা হবে। সোনা চোরাচালানের তথ্য দিতে বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গের সীমান্ত আধিকারিকরা একটি নম্বর জারি করেছেন।
বিএসএফ হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯-এ যোগাযোগ করতে বলেছে। এর বাইরে দক্ষিণবঙ্গ বর্ডার আরেকটি ৯৯০৩৪৭২২২৭ নম্বর চালু করেছে। সেই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজের মাধ্যমেও সোনা পাচার সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো যাবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সোনা চোরাচালান বেড়েছে। মুর্শিদাবাদে, বিএসএফ গত বৃহস্পতিবার ২১ লাখ ৩৬ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের তিনটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এক চোরাকারবারীকে। মার্চ মাসে, বিএসএফ শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগণায় চারটি পৃথক ঘটনায় ৭ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে।
বিএসএফ-এর এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন, যদি কারও দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরি হওয়া স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি উদ্ধার করা সোনার প্রতি কেজি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার পাবেন। এলাকার বেকার যুবকরাও টাকার লোভে পাচারে সহযোগিতা করে। এই চোরাচালানের অবস্থান এলাকার মানুষের কাছে রয়ে গেছে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে যাদের ধরা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই মূলত বাহক। তারা মূলত টাকার বিনিময়ে সোনার বিস্কুট এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে তারা কার সোনা নিচ্ছেন তাও জানা যায় না। যার কারণে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। এমতাবস্থায় মূল আসামিকে ধরা কঠিন। চোরাচালান চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার না হলে চোরাচালান দমন করা সম্ভব নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তে গরু চোরাচালান প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফেনসিডিল, গাঁজার মতো জিনিসের সঙ্গে সোনা চোরাচালানও বেড়েছে। বিএসএফ এর সাথে একমত। তবে বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, সোনার চোরাচালান বৃদ্ধির অন্যতম কারণ কালো টাকাকে সাদা করার চেষ্টা। কালো টাকা আড়াল করতে সেই টাকা দিয়ে সোনা কিনছেন অনেকে। এ কারণে সোনার চাহিদা বাড়ছে। যে কারণে সোনার চোরাচালানও বাড়ছে।
No comments:
Post a Comment