মমতা সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তীব্রতর! শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 16 April 2023

মমতা সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তীব্রতর! শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের



সম্প্রতি, তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা' রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে 'বিজেপি ক্যাডার' বলে সমালোচনা করেছে।  সেই ঘটনার পর ফের রাজ্য সরকার ও রাজভবনের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে।  ইতিহাসের শিক্ষক চন্দন বোসকে নেতাজি সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল।


 তবে সূত্রের খবর, রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই আচার্যকে উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  সূত্রের খবর, রাজভবনের এই নির্দেশে চরম ক্ষুব্ধ শিক্ষা দফতর।



প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের আমলে বারবার উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তোলপাড় হয়েছে।  প্রাক্তন রাজ্যপাল বেশ কয়েকটি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগকে বেআইনি বলে অভিহিত করেছিলেন।  এবারও চিত্র একই তবে সামান্য পার্থক্য রয়েছে।  এর আগে, রাজ্যপাল ধনখড় উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন, এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নেতৃত্বে উপাচার্য নিয়োগে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার।



 কয়েকদিন আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকেছিলেন।  তিনি উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের কী ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তা জানতে চান।  আচার্য এবং গভর্নর সিভি আনন্দ বোস বলেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নেবেন।



 তবে সূত্রের খবর, উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে শিক্ষা দফতর থেকে কিছু জানানো হয়নি।  পূর্ববর্তী অন্তর্বর্তী উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও, অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে একটি নতুন নামের প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে।  কিন্তু রাজ্যপাল সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি।  সূত্রের খবর, রাজ্যের শিক্ষা দফতর এ নিয়ে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।  তবে এখনও পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বোসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।



উপাচার্য চন্দন বসু বলেন, "অধ্যক্ষ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে আমি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছি।  বারবার বলা হচ্ছে ৩৩টি কোর্সের অনুমতি এখন মূল কাজ।  এতে লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জড়িত এবং এর অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড কমিশন।  তার নিয়ম খুবই কড়া।  কিছু অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  তাই আমি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য সবকিছু করব।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad