শীতলতম মার্চ স্বস্তি দিচ্ছিল কিন্তু এপ্রিল পরতেই ভয়ংকর রূপ নিল আবহাওয়া। গত সাত বছরে এটাই উষ্ণতম এপ্রিল, এমনই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। ২০১৬ সালের পর ৯, ২০২৩ এপ্রিল এখনও পর্যন্ত সবথেকে উষ্ণ। রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বিভিন্ন জেলায়।
মার্চ মাসে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জেরে তিলোত্তমার তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছিল এক ধাক্কায়। কিন্তু এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই রীতিমতো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরেছে আবহাওয়া। সকাল থেকেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, দুপুরে রবির কড়া তেজ, বাইরে বেরোনো প্রায় অসম্ভব। এর মাঝেও কোনও স্বস্তির খবর মিলল না হাওয়া অফিসের তরফে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্ৰি, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
রবিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা ২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৭৮ শতাংশ থেকে ৩১ শতাংশ। এদিন কলকাতার তাপমাত্রা থাকতে পারে সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্ৰি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই বলেই খবর, হাওয়া অফিস সূত্রে।
দক্ষিণবঙ্গে একাধিক জেলায় তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, আসানসোল, মুর্শিদাবাদ ও বোলপুর। ১১ থেকে ১৫ই এপ্রিল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। ৬ থেকে ৭টি জেলায় তাপমাত্রা বাড়তে পারে ৫ ডিগ্ৰি পর্যন্ত।
অপরদিকে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। কিছু জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের আশঙ্কাও। তবে, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আগামী ১৫ ই এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এছাড়াও কালবৈশাখী বা নতুন কোনও সিস্টেমের পূর্বাভাসও নেই হাওয়া অফিসের তরফে।
No comments:
Post a Comment