হাত জোড় করে প্রাণের ভিক্ষা! কালিয়াগঞ্জে পুলিশকে বেধড়ক মারের ছবি ভাইরাল - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 26 April 2023

হাত জোড় করে প্রাণের ভিক্ষা! কালিয়াগঞ্জে পুলিশকে বেধড়ক মারের ছবি ভাইরাল

 


হাত জোড় করে প্রাণের ভিক্ষা! কালিয়াগঞ্জে পুলিশকে বেধড়ক মারের ছবি ভাইরাল



নিজস্ব প্রতিবেদন, উত্তর দিনাজপুর, ২৬ এপ্রিল : ঘরের কোণে মাটিতে পড়ে কাঁপছে পুলিশ। রক্তাক্ত চোখ মুখে শুধু ভয়।  হাত জোড় করে কেঁদেকুটে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি পুলিশের।  আইনরক্ষকদের এমন নজিরবিহীন চিত্র দেখা গেছে কালিয়াগঞ্জে।  নাবালিকার রহস্যমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় শুরু।  থানায় আগুন দেওয়ার পর পুলিশকে মারধরের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে।  বিষয়টি সামনে আসতেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।  রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।  এ ঘটনায় ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে।মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে।  



আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনতার সামনে প্রাণ ভিক্ষা করছে।  কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকার রহস্যমৃত্যু নিয়ে থানায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। থানার আগুন দেওয়া হয়।  পুলিশের বাইক ও গাড়িও বাদ যায়নি।  প্রাণের ভয়ে ২০-২৫ জন পুলিশ অফিসার থানা থেকে পালিয়ে যায়।  এরপর পুলিশ কর্মীরা থানার কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নেয়।  কিন্তু পালানোর উপায় ছিল না।বিক্ষোভকারীরা বাড়ির দেয়াল ও জানালা ভেঙে পুলিশকে ঘেরাও করে।  ভিডিওতেও রক্তে ভেজা পুলিশ কর্মীদের বিক্ষুব্ধ জনতার কাছে প্রাণ ভিক্ষা করতে দেখা যায়।



পুলিশ কর্মীদের মারতে লাঠি, ঘরের আসবাবপত্র, পাথর নিয়ে ছুটে আসে বহু যুবক।  এমনকি বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবীরাও মারের হাত থেকে রেহাই পায়নি।  প্রায় ২৫-৩০ জন পুলিশ ওই এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে লুকানোর জায়গা চেয়েছিল।  জনগণের জীবন বাঁচানো যাদের দায়িত্ব, তারাই জীবন বাঁচাতে সাধারণ মানুষের কাছে কিছু আশ্রয় ভিক্ষা করছে।  কেউ কেউ আশ্রয় দিলেও বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে।  উন্মত্ত জনতা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর বাড়িঘরও ভাংচুর করে।



  জনগণের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া পুলিশ কর্মীদের মারধর করা হয়।  ভিতরের রুমের পর্দার আড়াল থেকে, তারা লাথি মেরে টেনে টেনে নিয়ে যায়, এমনকি একজন পুলিশ অফিসারকে মারধর করে।  সেই ভয়ঙ্কর ছবি ভাইরাল হতেই অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।  ঘটনার জেরে থানা পাড়া এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন, বিশেষ করে যাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টা পরও তাদের আতঙ্ক কাটছে না।



বাসিন্দারা বলেছেন যে বিক্ষোভকারীদের মারধর এড়াতে পুলিশ তাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল, তবে একজন পুলিশ কনস্টেবল, যে কক্ষে তাকে ঘিরে রেখে মারধর করেছিল সেখানে আটকা পড়েছিল, তাকে রায়গঞ্জ সরকারি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, "একজন এএসআইসহ চার কনস্টেবল ওই কক্ষে আটকা পড়েছিলেন।  আন্দোলনকারীরা তার কোনও কথাই শুনতে চায়নি।  তারা প্রাণ ভিক্ষা করে।  তাও চলে মারধর।"  যদিও পেশাগত কারণে ক্যামেরার সামনে আসতে চাননি তিনি।


 

  অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  বুধবার তাদের রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হবে।  এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।  এ ঘটনায় ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কালিয়াগঞ্জ শহরের ৪, ৫, ৬ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad