তিনতলা রাইস মিল ভবন ধসে ৪ জনের মৃত্যু। জানা গিয়েছে বহু মানুষ আহত হয়েছে।দুর্ঘটনার সময় ভবনের ভেতরে দেড় শতাধিক শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনাটি হরিয়ানার কর্নাল জেলার। কর্নালের ডিসি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কর্নালে রাইস মিলের ভবন ধসে পড়ায় মিলটিতে উপস্থিত বহু কর্মচারী ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গেছে, রাইস মিলের কর্মচারীরা রাতেও এখানে ঘুমাতেন। দুর্ঘটনার পর ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। ফায়ার ব্রিগেড ও পুলিশ ছাড়াও একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে রাইস মিল ভবন ধসে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও এখন এ সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে। এতে ২০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। রাইস মিলটিতে দেড় শতাধিক শ্রমিক বসবাস করছিলেন।
ভবনটি ধসে পড়ার পর অনেকেই জানালা দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে। জেলা প্রশাসক (ডিসি) বলেছেন, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে যারা বিষয়টি তদন্ত করবে।
কর্নালের ডিসি অনীশ যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, “দুর্ঘটনার কারণে মোট ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৪ জন মারা গেছে এবং ২০ জন আহত হয়েছে। ঘটনার সময় ভবনের ভেতরে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।"
ডিসি যাদব বলেন, “দুর্ঘটনায় আহতদের কাছের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ভবনটিতেই কিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে।” দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, "আমরা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করব, যারা দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে। পাশাপাশি রাইস মিল মালিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
কর্নালের এসপি শশাঙ্ক কুমার ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছেন যে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর ২০ জন আহত হয়েছে। আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। দুর্ঘটনার পর এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর দলও ত্রাণ কাজে নামছে। এখন কেউ নিখোঁজ নেই। আমরা সেখানে বসবাসকারী ব্যক্তিদের তালিকা ক্রস-চেক করেছি।
No comments:
Post a Comment