গ্রেফতার খালিস্তান সমর্থক অমৃতপাল সিং!
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৩ এপ্রিল : খালিস্তানি মৌলবাদী তথা 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে' প্রধান অমৃতপাল সিংকে ৩৫ দিনের একটানা তাড়ার পর রবিবার পাঞ্জাব পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। খালিস্তানি নেতা অমৃতপালকে মোগা জেলার রোদে গ্রামের গুরুদ্বার থেকে গ্রেফতার করা হয়। রোদে খালিস্তানি নেতা জার্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের আদি গ্রাম। পাঞ্জাব পুলিশ তাকে অমৃতসরে নিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে তাকে আসামের ডিব্রুগড় সংশোধনাগারে স্থানান্তর করা হবে। অমৃতপালের কয়েকজন সহযোগী এই সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছে।
গ্রেফতারের আগে অমৃতপাল সিং আত্মসমর্পণের নাটক মঞ্চস্থ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে পাঞ্জাব পুলিশ বলেছে, এটি একটি গ্রেফতার। এটি ছিল পাঞ্জাব পুলিশের একটি অভিযান।
অমৃতপাল সিং প্রায় এক মাস ধরে পুলিশকে ফাঁকি দিয়েছিলেন। এসময় তিনি ছদ্মবেশে পুলিশের চোখ থেকে নিজেকে রক্ষা করেন। পুলিশ তাকে ঘোষিত অপরাধী ঘোষণা করেছে।
উগ্রপন্থী অমৃতপাল সিং প্রায় এক মাস ধরে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে আসছিলেন। শুধু সিসিটিভি ফুটেজেই তাকে দেখা গেছে। বিভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালিয়েও তাকে ধরা যায়নি। ১৮ মার্চ, পুলিশ অমৃতপাল সিং এবং তার সংগঠন 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে'-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। অমৃতপাল এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে শত্রুতা বৃদ্ধি, খুনের চেষ্টা, পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা এবং সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার মতো একাধিক ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অমৃতপাল সিং প্রথম লাইমলাইটে আসেন ২৩ ফেব্রুয়ারি। আজনালায় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে মুক্ত করতে হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে আজনালা থানায় হামলা চালান তিনি। এ হামলায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরপর একাধিক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আলাদা খালিস্তান দাবী করেছিলেন। খালিস্তানি সন্ত্রাসী ভিন্দ্রানওয়ালের সঙ্গেও তুলনা করা হচ্ছে অমৃতপালকে।
সম্প্রতি খালিস্তান সমর্থক অমৃতপাল সিংয়ের স্ত্রী কিরণদীপ কৌরকে ব্রিটেনে যাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে। অমৃতসরের শ্রী গুরু রামদাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা তাদের অমৃতপালের গ্রামে জল্লুপুর খেদা পাঠায়। বিয়ের পর প্রথমবারের মতো লন্ডনে যাচ্ছিলেন তিনি। কিরণদীপ কৌর দুপুর ১:৩০ টায় বার্মিংহাম যাওয়ার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার একটি নির্ধারিত ফ্লাইটে উঠত। তার বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার থাকায় অভিবাসন অধিকারিকরা তাকে ভ্রমণ করতে দেননি।
No comments:
Post a Comment