রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকায় পাঁচ দিন পর আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে কুড়মি সম্প্রদায়। যাতে করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এলাকার মানুষ। এখন আশা করা হচ্ছে এই এলাকায় রেল পরিষেবা এবং পরিবহন পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। যদিও খেমাশুলিতে অবরোধ অব্যাহত, ঐ এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আরপিএফ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শেষ করা যায়। তবে, রাজ্যের আবেদনে নয় কুড়মি সম্প্রদায় নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অবরোধ তুলেছেন।
কুড়মি নেতা অজিত প্রসাদ মাহাতো এক সভায় জানিয়েছেন যে, তিনি বর্তমানে রেল অবরোধ প্রত্যাহার করছেন। যদিও অজিত প্রসাদ বলেছেন, আগামীকাল ফের আন্দোলন চলবে। অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে এখনও অবরোধ। সেখানকার নেতৃত্ব বলছেন যে তারা এ বিষয়ে আলোচনা করছেন এবং তারা এখনও কোনও নির্দেশনা পাননি। এলাকায় প্রচুর আরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে এবং তারা রুট মার্চ করছেন।
উল্লেখ্য, কুড়মি সম্প্রদায় তাদের দাবীর জন্য আন্দোলন করছেন। কুড়মি সমাজের রাজ্য নেতা রাজেশ মাহাতো রবিবার বলেন, “মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, এটা ঠিকই, কিন্তু কুড়মি সমাজের দাবী পূরণ হচ্ছে না। প্রশাসনের কোনও সহযোগিতা নেই। সেজন্য আন্দোলন থামবে না। প্রয়োজনে অন্যান্য স্থানেও অবরোধ শুরু করা হবে।' তবে, কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, তারা কয়েকদিন 'বিশ্রাম' নিয়ে আবার রাস্তায় নামবেন। অন্যদিকে, খেমাশুলিতে প্রচুর সংখ্যক আরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। আবার চালু হতে পারে ট্রেন চলাচল। এ বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে। ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা বলেন, 'একটু সময় দিন, আবার ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি চলছে।'
প্রসঙ্গত, রবিবার কুড়মি সম্প্রদায়ের রেল অবরোধ পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে। অবরোধের জেরে দূরপাল্লার ট্রেন ও লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। প্রায় ৪৯৬ এর সাথে সাথে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খেমাশুলি রেলস্টেশন এবং তার সংলগ্ন জাতীয় সড়কে জ্যামের কারণে সমস্যায় পড়েছেন মানুষ। রেল ও জেলা প্রশাসন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে খেমাশুলিতে আন্দোলনরত কুদমি সম্প্রদায়ের লোকজন বলছেন, তাদের দাবী এখনও মানা হয়নি। কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি। তারা তাদের নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন।
No comments:
Post a Comment