মঙ্গলবার ৪ এপ্রিল রাতে মহারাষ্ট্রের নন্দুরবার শহরে দুই দলের মধ্যে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। পাথর ছোঁড়ায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হট্টগোলের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিক জানান, এ পর্যন্ত ৬ থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যারা পাথর ছোঁড়া শুরু করেছিল। দুই গ্রুপের পারস্পরিক বিরোধের জের ধরে এই পাথর ছোঁড়া বলে জানা গেছে।
রাম নবমীর দিন থেকেই মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসা ও পাথর ছোঁড়ার খবর আসছে। ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের কিরাদপুরা, মহারাষ্ট্রের জলগাঁও এবং মুম্বাইয়ের মালাদ থেকে হিংসাত্মক ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। একই সময়ে নন্দুরবার থেকে দুই গ্রুপে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা সামনে এসেছে।
নন্দুরবার-আহমেদনগরে মানুষ সংঘর্ষে লিপ্ত
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাতে মহারাষ্ট্রের নন্দুরবার শহরে দুই পক্ষের মধ্যে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে সংঘর্ষ হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় ৬ থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নন্দুরবার ছাড়াও মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ হয়েছে। পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগের ঘটনাও সামনে এসেছে। সংঘর্ষে জড়িতরা যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং এ সময় বহু মানুষ আহত হয় যাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাম নবমী উপলক্ষে রাজধানী মুম্বাইয়ের মালাদে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। রাম নবমীর মিছিলে দুই দলের মধ্যে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। অন্যদিকে, রাম নবমীর পরদিন মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের কিরাদপুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা সামনে আসে। এ সময় উভয় পক্ষ থেকে পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগও করা হয়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করেও পাথর ছোঁড়ে, এতে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
এ ছাড়া গত ১ এপ্রিল শনিবার জলগাঁওয়েও একই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ জানিয়েছিল যে এখানে একটি প্রতিমা ভাঙার পরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল এবং এই মামলায় ১২ জনকে আটক করা হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment