এই দিনগুলিতে আবহাওয়া হালকা এবং উষ্ণ। বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতার কারণে মশার সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে, যার কারণে সবাই বিচলিত দেখাচ্ছে। রাতে ছেড়ে দিন, দিনেও মশা কামড়ে ত্বক লাল করে দিচ্ছে। এমনকি অনেক সময় মশা মোকাবেলায় জ্বালানো কয়েল বা ধূপকাঠিও কাজ না করায় মানুষের সমস্যা আরও বেড়েছে। আপনিও যদি একই সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে আজকে আমরা আপনাকে এমনই ৫টি গাছের কথা বলছি, সেগুলো ঘরে লাগালে মশা দূর হয়ে যাবে গাধার শিংয়ের মতো। আসুন জেনে নিই সেই ৫টি উদ্ভিদ কোনটি।
ল্যাভেন্ডার
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরে সুগন্ধ ছড়াতে ল্যাভেন্ডার উদ্ভিদ লাগানো উপকারী। মানুষের জন্য, এই উদ্ভিদের সুগন্ধি সুগন্ধির মতো, কিন্তু মশারা এই সুগন্ধি পছন্দ করে না এবং তারা এটি থেকে দূরে থাকে। তারা যে বাড়িতে ল্যাভেন্ডার গাছ লাগানো হয় সেখানে প্রবেশ করতে ইতস্তত করে।
পুদিনা
পুদিনা গাছ প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে কাজ করে। এটি মশা তাড়াতে অনেক সাহায্য করে। এর সুগন্ধে মশা ঘরের আশেপাশে উড়ে না। এটি ব্যবহার করার জন্য, পুদিনা গাছের কিছু পাতা ছিঁড়ে এখানে এবং সেখানে ফেলে দিতে হবে, যাতে তাদের সুগন্ধি ছড়িয়ে মশারা পালিয়ে যায়।
রোজমেরি
বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে এই গাছ লাগানো হয়। কিন্তু এটি শুধু ঘর সাজায় না মশা ও মাছি দূরে রাখে। প্রকৃতপক্ষে, মশারা এটি থেকে নির্গত গন্ধ সহ্য করতে পারে না এবং তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আপনি চাইলে বাড়ির জানালা ও দরজায় এই গাছ লাগাতে পারেন।
তুলসী গাছ
ভারতীয় সংস্কৃতিতে তুলসী গাছকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। প্রতিদিন সকালে কোটি কোটি মানুষ তুলসী পূজা করে তাদের দিন শুরু করে। তবে তুলসি শুধু পবিত্র নয়, একটি ঔষধি গাছও বটে। তুলসী গাছের গন্ধে মশারা বিরক্ত হয় এবং সেই বাড়ি থেকে দূরে থাকাই তাদের মঙ্গল মনে করে।
গাঁদা
হলুদ এবং কমলা রঙের গাঁদা গাছগুলি দেখতে খুব সুন্দর। পাইরেথ্রাম নামক একটি উপাদান এই উদ্ভিদে পাওয়া যায়, যা মশা সহ বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় তাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। ঘরের জানালা ও দরজার কাছে গাঁদা ফুলের গাছ লাগালে মশা চাইলেও ভেতরে ঢুকতে পারবে না এবং শান্তিতে ঘুমাতে পারবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment